মাদারীপুর

মই বেয়ে পার হতে হয় সেতু

মাদারীপুর, ১৩ সেপ্টেম্বর – মাদারীপুরের কালকিনিতে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্ভোগে থাকা মানুষদের কথা ভেবে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার দাবি স্থানীয় জনসাধারণের। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুতই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার কাজ করা হবে।

মাদারীপুর কালকিনি উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজার হচ্ছে মিয়ারহাট। পাশেই আড়িয়াল খাঁ নদের উপরে চরদৌলতখান ও শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হয় সেতু। ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭৬ টাকা খরচে ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের কাজ ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়। যা চলতি বছরের জুনের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু সেতুটির তিনটি স্প্যানসহ মূল অবকাঠামো গত বছরই নির্মাণ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতুর দুইপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করেই ফেলে রাখা হয়। এতে দুই পাড়ের দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা সেতুটির সংযোগ সড়ক না থাকায় কাঠের মই ব্যবহার করে চরম দুর্ভোগ নিয়ে বাধ্য হয়েই চলাচল করছে।
ষাটোর্ধ্ব সেকেন্দার মালত নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি মোক্তারহাট এলাকা থেকে প্রতি সপ্তাহের দুইদিন মিয়ারহাটে মালামাল বেচাকেনা করতে আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুর কাঠের মই বেয়ে উপরে উঠতে খুব কষ্ট হয়। তাই এখন সপ্তাহে মিয়ারহাটে একবার আসেন।

মিয়ারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, মাটি থেকে ব্রিজের উচ্চতা প্রায় ১২ ফুটের মতো। তাই ব্রিজ দিয়ে উঠতে কষ্ট হয় বলে অনেকে ঠিকমতো স্কুলে আসতে চায় না। শুধু তারাই নয়, এই এলাকার অনেক মানুষই সেতুটিতে সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগের কথা জানান।

এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই সেতুর দুইপাড়ে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আশা করছি চলতি মাসেই আমরা মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে দেব। এরপর থেকে এই এলাকার মানুষের চলাচলে আর সমস্যা হবে না।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন
আইএ/ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button