পশ্চিমবঙ্গ

শুভেন্দু, রাহুল, লকেটকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ! পারলেন না মিছিলে যোগ দিতে যেতে

কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর – ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাঁতরাগাছিতে মিছিল শুরু করতে যাওয়ার আগেই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও রাহুল সিন্‌‌হাকে আটক করেছে পুলিশ। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, পুলিশের ব্যারিকেডে ধাক্কা মারতে দেখা গেছে শুভেন্দুকে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করার পর প্রিজন ভ্যানে করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর আগে সাঁতরাগাছি যাওয়ার আগে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কাছে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।

নবান্ন অভিযানে পুলিশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আজ বলেছেন, আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি পশ্চিমবঙ্গে এতো পুলিশ এলো কোথা থেকে! কয়লার গাড়ি, গরুর গাড়ি যাচ্ছে তখন পুলিশ দেখা যায় না। পাড়ায় অশান্তি, বোমা পড়লে থানায় ফোন করলে বলে ফোর্স নেই। আজ বিজেপির কর্মসূচি রয়েছে। এত পুলিশ কি বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছে নাকি?

তিনি আরো বলেন, আমরা মিটিং করলে নাকি ঝাড়খন্ড থেকে লোক নিয়ে আসি। আজ তা ঠেকাতে তৃণমূলকে বিহার, ঝাড়খন্ডের পুলিশ আনতে হচ্ছে নাকি? যদি এত পুলিশ থাকে তাহলে পশ্চিমবঙ্গে এতো অপরাধ হচ্ছে কেন? গুজরাতের পুলিশ এখান থেকে মাদক পাচারকারীদের ধরে নিয়ে যায়, মিজোরামের জঙ্গি ধরা পড়ে এখানে, পুলিশ কী করে তখন? কেবল বিজেপিকে আটকানোর জন্য আছে? রাস্তা খুঁড়ে ব্যারিকেড লাগিয়েছে। বিজেপি কার্যকর্তারা উগ্রপন্থী নাকি?

তিনি আরো বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে যাচ্ছি, করব। যদি বাধা আসে রাস্তায় বসে ধর্না দেব, অবরুদ্ধ করব। আমরা মারপিট করতে আসিনি। ইচ্ছা করে পুলিশ দিয়ে তৃণমূল উত্তেজনা ছড়িয়ে বিজেপিকে বদনাম করতে চেষ্টা করছে। সেটা আমরা করতে দেব না।

সূত্র: আনন্দবাজার
এম ইউ/১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button