ব্যবসা

পোশাক উৎপাদনে টেকসই উপাদান ৫০% বৃদ্ধির তাগিদ

ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর – ২০৩০ সালের মধ্যে পোশাক শিল্পের উৎপাদনে টেকসই উপাদানের মিশ্রণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করার তাগিদ দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত কৌশলগত রূপকল্প বাস্তবায়নে অর্গানিক ও পুনর্ব্যবহূত (রিসাইকেল্ড) উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

গতকাল বিজিএমইএ কার্যালয়ে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান ড্যানির সঙ্গে এক সাক্ষাতে এসব বিষয় তুলে ধরেন ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, বিজিএমইএ বাংলাদেশের পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ এবং এক্ষেত্রে খাতটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা গ্রহণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজিএমইএ পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন উন্নীতকরণের জন্য বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে সর্বাধিক গ্রিন পোশাক কারখানার আবাসস্থল হিসেবে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে নিজেকে অধিষ্ঠিত করেছে।

সানজিদা রহমান তাদের নতুন উদ্যোগ ‘এঞ্জেল ইকো-পেপার’ এবং পোশাক শিল্প খাতে এর সম্ভাব্য ব্যবহার বিষয়ে অবহিত করার জন্য বিজিএমইএ সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্ট প্রধানত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কিত অপ্রচলিত ধরনের এবং উদ্ভাবনামূলক প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করে। তাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগ হলো পরিবেশবান্ধব কাগজ তৈরি করা। এ কাগজ তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থ যেমন পাটের বর্জ্য, কাগজের বর্জ্য এবং অন্যান্য জৈব বর্জ্য যেমন আনারসের ওপরের অংশ, ধান বা গম কাটার পরে গাছের অবশিষ্টাংশ, ঘাস বা কচুরিপানা ব্যবহার করা হয়। পোশাক কারখানার বর্জ্যও এ পণ্যের একটি সম্ভাব্য কাঁচামাল।

পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্ট পোশাক এবং জুতা শিল্পের জন্য ট্যাগ তৈরিতে অ্যাঞ্জেল ইকো-পেপার ব্যবহার করতে আগ্রহী। আগামীতে ট্যাগ ছাড়াও এ দুটি শিল্পের জন্য বাক্স ও অন্যান্য পণ্য তৈরির সম্প্রসারিত পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্টের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

প্রসঙ্গত, অ্যাঞ্জেল ইকো-পেপার তৈরির কাঁচামাল দেশের বেশির ভাগ স্থানে সহজলভ্য। তাই কাগজটি ব্যাপক পরিসরে ব্যবহার করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবেশবান্ধব এ কাগজ তৈরির প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে অর্গানিক। কোনো রকম ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার থেকে পুরোপুরি মুক্ত। এতে খুব বেশি পরিমাণে উপকরণেরও প্রয়োজন হয় না। প্রচলিত কাগজ উৎপাদনের বিপরীতে এতে ভারী যন্ত্রপাতিরও প্রয়োজন নেই। পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার ট্রাস্ট এ কাগজ তৈরিতে কাজ করার জন্য প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ দেয়।

সূত্র: বণিক বার্তা
আইএ/ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button