আইন-আদালত

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া চার আসামি খালাস

ঢাকা, ১২ সেপ্টেম্বর – আটাশ বছর আগে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এক কিশোরকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার টুপিয়াজুরি গ্রামের আলী হায়দার, আগুয়া গ্রামের খুরশেদ আলীর ছেলে রেনু মিয়া, আগুয়া গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়া ও আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে রঞ্জু মিয়া।

বিচারিক আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। দেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) খারিজ এবং খালাস চেয়ে আসামিদের আপিল গ্রহণ করে আজ সোমবার এ রায় দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম আশরাফুল হক জজ। আসামিপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম আশরাফুল হক জজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আপিল বিচারাধীন অবস্থায় আব্দুল আহাদ নামের এক আসামির মৃত্যু হয়। হাইকোর্ট বাকি চার আসামির আপিল গ্রহণ করে তাদের খালাস দিয়েছেন। ’ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।

আসামিপক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। ‘

তিনি আরো বলেন, ‘এ মামলাটি হওয়ার আগে আরেকটি মামলা হয়। ওই মামলায় পুলিশ এফআরটি (ফাইনাল রিপোর্ট ট্রু) অর্থাৎ ঘটনা সত্য, কিন্তু সাক্ষ্য-প্রমাণ মিলেনি এমন প্রতিবেদন দেয়। পরে এ মামলাটি হয়। যেহেতু আগে এফআরটি দিয়েছে তাই এ মামলায় তারা আর আসামি হতে পারেন না। যে কারণে আসামিদের খালাস দিয়েছেন আদালত। ‘

উল্লেখ্য, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৪ সালের ১৩ মে বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ছেলে জিয়াউল হককে (১৩) হত্যা করা হয়। পরের দিন পঁচাসিংদা গ্রাম থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় নিহতের মা রূপচান বিবি মামলা করলে পুলিশ তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। তাদের মধ্যে এক আসামি বিচার চলাকালীন সময়েই মারা যান। বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৯ মে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আর আসামিরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। সেই আপিল গ্রহণ করেই রায় দিলেন উচ্চ আদালত।

সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button