ক্রিকেট

শিরোপা ছুঁতে পাকিস্থানের দরকার ১৭১ রান

আবুধাবি, ১১ সেপ্টেম্বর – পাওয়ারপ্লেতে সুবিধা করতে না পারলেও পরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। বাবর আজমদের দুটি সহজ ক্যাচ মিসের সুবাদে ইনিংস বিপর্যয়ের শঙ্কা থেকে বড় পুঁজি পেয়েছে টুর্নামেন্টের স্বাগতিকরা। লঙ্কানদের হয়ে ৪৫ বলে ভানুকা রাজাপাকসের ৭১ রানের ঝড়ের পাশাপাশি হাসারাঙ্গার ২১ বলে ৩৬ রানে দলটি তুলেছে ১৭০ রান করতে সক্ষম হয়।

রোববার শ্রীলঙ্কা শিবিরে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ। প্রথম দুই বলে ওয়াইডসহ ২ রান দিলেও পরের বলেই দারুণ এক ইন-সুইঙ্গারে নাসিম উপড়ে ফেলেন কুশাল মেন্ডিসের স্টাম্প। ওই ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন তিনি। হাসনাইন পরের ওভারে দেন ১২ রান।

এক ওভার বিরতিতে আরও একটি উইকেট পড়ে শ্রীলঙ্কার। হারিস রউফের করা ওভারের দ্বিতীয় বলে লং অফে খেলতে গিয়ে ক্যাচ ‍তুলে দেন পাথুম নিসাঙ্কা। আউট হওয়ার আগে ১১ বলে ৮ রান করেন তিনি। পেছন দিকে দৌড়ে গিয়ে নিসাঙ্কার ক্যাচটি দেন পাকিস্তান দলপতি বাবর আজম। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ইন-সুইঙ্গারে দানুস্কা গুনাথিলাকার উইকেটও নেন হারিস।

শ্রীলঙ্কা দলকে অনেকটা একাই টানছিলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। পাওয়ার প্লে শেষে লঙ্কানরা যে ৪৭ রান করেছিল, সেখানে ডি সিলভারই ছিল ২৭ রান। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠা সিলভা আউট হন ইনিংসের অষ্টম ওভারে। ইফতিখার আহমেদের বলে কট এন্ড বোল্ড হন তিনি। দাসুন শানাকা উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই ফিরে যান সাজঘরে। শাদাব খানকে মেরে খেলতে গিয়ে বলে ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি তিনি।

৫ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা যখন ধুঁকছিল, তখন দলের হাল ধরেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ভানুকা রাজাপাকসে। দুজনে মিলে গড়েন ৫৮ রানের জুটি। এর মধ্যে হাসারাঙ্গা একাই ২১ বলে করেন ৩৬ রান। সেই জুটি ভাঙেন হারিস। শেষ দিকে আরেকটা শক্ত জুটি দাঁড় করান রাজাপাকসে ও করুনারত্নে মিলে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button