জাতীয়

আর্থিক স্বচ্ছতায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হলেও ন্যূনতম মানদণ্ডে পৌঁছাতে পারেনি

ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর – আর্থিক স্বচ্ছতায় ন্যূনতম মানদণ্ড রাখার চেষ্টা করেনি বাংলাদেশ। তবে আর্থিক স্বচ্ছতার দিক থেকে আগের তুলনায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শনিবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর আর্থিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যেসব দেশ মার্কিন আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করে সে দেশগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

২০২২ সালে ১৪১টি দেশের অর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটি। সেখানে যে দেশগুলো নূন্যমত মানদণ্ড রাখতে পারেনি তাদের বিষয়ে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে দেশগুলো নূন্যমত মানদণ্ড রাখতে পারেনি, তবে এ মানদণ্ডে পৌঁছাতে অগ্রগতি করেছে, তাদের বিষয়েও বলা হয়েছে।

যে দেশগুলো মার্কিন আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করে থাকে, সেই দেশগুলোর সরকার জনগণের নেওয়া করের অর্থ কিভাবে খরচ করে এবং অর্থের কার্যকর আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নাগরিকদের জানাতে এ প্রতিবেদন করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, আর্থিক স্বচ্ছতার দিক থেকে ন্যূনতম মানদণ্ড না রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর ছিল। তবে আর্থিক স্বচ্ছতা রাখতে আগের তুলনায় উল্লেখজনক অগ্রগতি হয়েছে। এ বছরই প্রথম বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী আর্থিক স্বচ্ছতার দিক থেকে উল্লেখজনক অগ্রগতি করেছে। সরকার এ সময়ে নির্বাহী বাজেট প্রস্তাব এবং বিস্তৃত বাজেট প্রণয়ন করেছে। এছাড়া জনগণের কাছে যাতে সহজে বাজেট পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থাও করেছে। অনলাইনে বাজেট সহজলভ্য করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ঋণ নিয়ে বিস্তারিত জনগণের কাছে সহজলভ্য করেছে। সরকারের খচরের পরিকল্পনা, রাজস্ব কিভাবে আয় করবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে আয়ের বিষয়টিতেও বাজেট নথিতে যুক্তিসংগত পূর্ণাঙ্গ তথ্য সরবহার করেছে সরকার। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক বরাদ্দ এবং তাদের আয়ের বিষয়টিও বাজেটে জনগণের জন্য সহজলভ্য করা হয়েছে।

বাংলাদেশ কিভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা আনতে পারে প্রতিবেদনে তার সুপারিশও করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুযায়ী বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। সর্বোচ্চ নিরীক্ষা কৃর্তপক্ষকে স্বাধীনতা ও পর্যাপ্ত জনবলসহ প্রয়োজনীয় সম্পদ দিতে হবে, আর এটি নিশ্চিত করতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী। নিরীক্ষা প্রতিবেদন সময়মত প্রকাশ করতে হবে। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে এবং এতে নিরীক্ষার সুপারিশ ও বর্ণনা থাকতে হবে।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button