নিলাম অযোগ্য মেয়াদোত্তীর্ণ ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে
চট্টগ্রাম, ১০ সেপ্টেম্বর – চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানির পর পড়ে থাকা পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ প্রায় ৩০ ধরনের পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ৩৮২ কন্টেইনার ভর্তি এসব পণ্য নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে নগরের আনন্দবাজার এলাকায় এসব পণ্য পর্যায়ক্রমে ধ্বংস করার হবে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
১১১ লটে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৬টি রেফার কন্টেইনার, ৩২টি ড্রাই কন্টেইনার ও বিভিন্ন অফডকের ২১৪টি ড্রাই কনটেইনার ধ্বংসের তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল, কফি ইত্যাদি।
নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও অনুমোদন মিলেছে এ বিষয়ে। এর আগেও একই জায়গায় পণ্য ধ্বংস করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস। দিনে ২৫-৩০টি কন্টেইনারের পণ্য ধ্বংসের পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে বন্দরের মূল্যবান জায়গা খালি হবে।
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা যায়, ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৯ (নয়) সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. মুসফিকুর রহিম। এতে সদস্য (প্রতিনিধি) হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত একজন সহকারী পুলিশ সুপার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন মনোনীত প্রতিনিধি, বিজিবি এর সহকারী পরিচালক পর্যায়ের একজন মনোনীত প্রতিনিধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন মনোনীত প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রামের একজন মনোনীত প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি।
এ কমিটিতে সদস্যসচিব হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১০ সেপ্টেম্বর ২০২২