৩ মাস বন্ধ থাকার পর চালু হলো বাঁশ পরিবহন, ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
রাঙ্গামাটি, ০৯ সেপ্টেম্বর – পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর বাঁশ পরিবহন করা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টম্বর) নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর রাঙ্গামাটি কাপ্তাই আপস্ট্রিম জেটিঘাটে কাপ্তাই লেক থেকে ট্রাকে বাঁশ পরিবহন শুরু হয়।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, ট্রাকে বাঁশ লোড করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হচ্ছে।
রাঙ্গামাটির অন্যতম একটি ব্যবসা হচ্ছে বাঁশ ব্যবসা। জেলার বিভিন্ন পাহাড় থেকে সংগ্রহ করা বাঁশ নিয়ে যাওয়া হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যা দিয়ে হস্তশিল্পসহ তৈরি করা হয় কাগজ। এছাড়া ব্যবহার করা হয় গৃহনির্মাণ কাজে।
বাঁশের বংশবিস্তার ও প্রজননের জন্য জুন থেকে আগস্ট—এ তিন মাস সব ধরনের বাঁশ কর্তন ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয় বন বিভাগ। এ সময়সীমার মেয়াদ ২ সেপ্টেম্বর তুলে নেওয়া হলেও নানা জটিলতায় বৃহস্পতিবার থেকে বাঁশ পরিবহন শুরু হয়।
বাঁশ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে বাঁশ পরিবহন শুরু হয়। তবে বিভিন্ন জটিলতা ও ট্রাক পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাঁশ পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ রাখেন।
আবুল কাশেম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগে এক ট্রাক বাঁশ বোঝাই করে ঢাকায় নিতে ট্রাকভাড়া লাগতো ৩৩ হাজার ৩৭০টাকা। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর বর্তমানে লাগছে ৪০ হাজার ৩৭০ টাকা। সাত হাজার টাকা ভাড়া খরচ বেড়েছে।’
বাঁশ ব্যবসায়ী ফজল আলম বলেন, ‘ক্ষতি পোষাতে না পারলে আগামীতে পার্বত্যাঞ্চল হতে বাঁশ ব্যবসা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। কোনো ব্যবসায়ীরা লস দিয়ে ব্যবসা করবেন না।’
এ বিষয়ে কাপ্তাই জেটিঘাট বনশুল্ক পরীক্ষণ ফাঁড়ি স্টেশন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর বাঁশের বংশবিস্তারের জন্য সংগ্রহ ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফলে তিন মাস পার্বত্যাঞ্চল থেকে বাঁশ পরিবহন বন্ধ থাকে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় বাঁশ পরিবহন শুরু হয়েছে। শুক্রবারও নিয়মিত হারে বাঁশ পরিবহনে করে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।
সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২