দক্ষিণ এশিয়া

ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়ে রাতভর মারধরের শিকার কিশোরী

নয়াদিল্লী, ৯ সেপ্টেম্বর – ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিল ১৩ বছরের এক কিশোরী। কিন্তু অভিযোগ গ্রহণ না করে সারা রাত তাকে থানায় আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ৩০ আগস্ট ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর এলাকার কোতয়ালী থানায়। বুধবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিন পুলিশকর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছতরপুরের এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, বাবু খান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় মামলা করতে গিয়ে কোতয়ালী থানায় গিয়েছিলেন কিশোরী। তবে গত ৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বাবু খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে।

কিশোরীকে মারধরের অভিযোগে কোতয়ালী থানার স্টেশন হাউজ অফিসার অনুপ যাদব, সাব-ইনস্পেক্টর মোহিনী শর্মা এবং এএসআই গুরুদত্ত শেষাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ছতরপুরের পুলিশ সুপার শচীন শর্মা।

এদিকে যুগ্ম জেলা প্রশাসক প্রতাপ সিংহ জানিয়েছেন, জেলা শিশুকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তোভোগী কিশোরীর মা পুলিশকে জানিয়েছেন, ৩০ আগস্ট তার মেয়েকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান বাবু। বাড়িতে তিন দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন তাকে। কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ঘটনাটি জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশকর্মী মামলার বয়ান পাল্টানোর জন্য কিশোরীকে চাপ প্রয়োগ করেন। বয়ান বদলাতে অস্বীকার করলে কিশোরীকে থানায় আটকে রাখেন তারা।

কিশোরীর মা বলেছেন, ‘মেয়েকে থানার ভেতরে নিয়ে যান এক পুলিশকর্মী। অন্য এক পুলিশকর্মী আমাকে থানার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন। ভেতর থেকে মেয়ের চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। ওর পেটে লাথি মারা হয়েছে। বেল্ট দিয়েও পেটানো হয়েছে। সারারাত মেয়েকে থানায় আটকে রাখে পুলিশ। আমরা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি। ‘

সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button