পশ্চিমবঙ্গ

বড় জয়,বেকসুর খালাস পেলেন অনুব্রত মণ্ডল

কলকাতা, ০৯ সেপ্টেম্বর – প্রায় ১২ বছরের পুরনো মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে মুক্তি দিয়েছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। এই মামলায় অনুব্রত-সহ ১৪ জন অভিযুক্তকে তথ্যপ্রমাণের অভাবে ‘বেকসুর খালাস’ ঘোষণা করেছে আদালত।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার।

২০১০ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা এলাকার মল্লিকপুর একটি বিস্ফোরণের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। তার মধ্যে দু’জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন অনুব্রত এবং কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ-সহ ১৫ জন। মামলা চলাকালীন এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল।

এমপিএমএলএ আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সৌভিক বাসু ঠাকুর বললেন, ‘সত্যমেব জয়তে…সত্য়ের জয় হচ্ছে। আমার ক্লায়েন্ট বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত। আসলে তার ভাবমূর্তিটা নষ্ট করা চেষ্টা হয়েছিল।

বিধাননগরে এমপি-এমএলএ আদালতে পেশ করার জন্য শুক্রবার আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কলকাতায় আনা হয় অনুব্রতকে। এদিন কাকতালীয়ভাবে সকাল থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে আত্মবিশ্বাসী দেখা যায়।

আদালতের বাইরে আবার স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বলেন, জেলে কেউ সারাজীবন থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চই ছাড়া পাব। তিনি আরও বলেন, কোনওটাতেই অন্যায় করি নাই, সবেতেই বেকসুর খালাস হব।

এর আগে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মেগা সমাবেশ থেকে অনুব্রতকে বীরের মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক বিশাল সমাবেশে মমতা বলেন, বিজেপি ভেবেছে, অনুব্রতকে জেলে রেখে বীরভূমের লোকসভার দুটি আসন ছিনিয়ে নেবে? সে গুড়ে বালি। ভোটে এবারও জিততে পারবে না ওরা। গত ১৪ আগস্ট মমতা অনুব্রতের পাশে থাকার একই বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের এক সভায়। আবার নতুন করে বার্তা দিলেন গতকাল।

গতকালের সমাবেশে অনুব্রতের বিষয়ে এমন ঘোষণা দিলেও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার দলের আরেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে একটি কথাও বলেননি মমতা।

শুক্রবার সকালে আসানসোল জেল থেকে বেরিয়ে, সাংবাদিকরা মুখ্যমন্ত্রীর সেই বক্তব্য কেষ্টর সামনে তুলে ধরতেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ!’। অনুব্রত বলেন,‘আমি কি অন্যায় কিছু করেছি নাকি? শুধু দেখে যান…আর দেখতে থাকেন।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে সিবিআই আদালত । আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারেই থাকতে হবে তাকে। ওইদিনই সিবিআই আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button