রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে কাঁদছে ব্রিটেন
লন্ডন, ০৯ সেপ্টেম্বর – কুইন আর কান্ট্রিকে ব্রিটেনের মানুষ ভালোবাসে। সেই কুইন ব্রিটেনের ইতিহাসের দীর্ঘতম সময়ের রানি এলিজাবেথ আলেক্সজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে পাড়ি জমিয়েছেন পরলোকে। ব্রিটেন ও কমনওয়েলথভুক্ত ১৪টি দেশের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন স্কটল্যান্ডের এবারর্ডিনের কাছে বালমোরালে তার স্কটিশ এস্টেটে। সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
৯৬ বছর বয়সী রানীর মৃত্যুর খবরে ব্রিটেনজুড়ে মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উদ্বেগ বিরাজ করছে। বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে বহু মানুষকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখা গেছে। সেখানে শোকার্ত মানুষের ভিড় তৈরি হয়েছে।
রানি এলিজাবেথ কেবল সম্রাজ্ঞী হিসেবেই নন, আবেগের জায়গা থেকে ও নানা কারণে তিনি ব্রিটেনসহ বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার জায়গা দখল করে ছিলেন। রাজশাষণ না থাকলেও ব্রিটিশ জনগণের শ্রদ্ধা, আস্থা আর ভালোবাসার আসনে ছিলেন রানি। ছিলেন তাদের সম্মানের প্রতীক।
রাজনীতিক শরীফুজ্জামান চৌধুরী তপন বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, রানির মৃত্যুর খবরে মানুষ কাঁদছে। কেবল রানি হিসেবে নয়, ব্রিটেনসহ বিশ্বজুড়ে অসংখ্য সমাজসেবামূলক দাতব্য প্রতিষ্ঠান তিনি যুগের পর যুগ চালিয়ে গেছেন। খুব শৃঙ্খলার মধ্যে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনকে পরিচালিত করেছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সফর করেন। সেবছর ১৪ থেকে ১৯ নভেম্বর তিনি রাজকীয় সফরকালে চট্টগ্রামের একটি গ্রামে ট্রেনে ভ্রমণ করেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সম্মানে পুস্পার্ঘও অর্পন করেন রানি।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২