চীনের ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই
ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর – বাংলাদেশ চীনা ঋণের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে- এমন ধারণা সঠিক বলে মনে করেন না প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে গত বুধবার ভারতের পত্রিকা ইন্ডিয়া টু ডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘চীনের ঋণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের ঋণ-জিডিপি অনুপাত সারাবিশ্বের মধ্যে নিম্নতম পর্যায়ে থাকা দেশগুলোর অন্যতম। একই সঙ্গে সরকারের বাণিজ্যিক ঋণ খুবই কম। শ্রীলঙ্কা সরকার প্রচুর পরিমাণে বাণিজ্যিক ঋণ নিয়েছে। বাংলাদেশ সেদিকে যায়নি। এমনকি বাংলাদেশের সভরেন বা সার্বভৌম বন্ডও নেই। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দেশ আর্ন্তজাতিক বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য ‘সভরেন বন্ড’ ইস্যু করে থাকে।’
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের কিছু প্রকল্পে নমনীয় ঋণ দিয়েছে এবং বাংলাদেশ তা ব্যবহার করছে। অনেকে মনে করেন, পদ্মা সেতু চীনের অর্থায়নে নির্মিত। এটি একেবারেই সঠিক নয়। পদ্মা সেতু সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে তৈরি। আর্ন্তজাতিক দরপত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে চীনের ঠিকাদার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। এটি একটি বাণিজ্যিক বিষয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিনিয়োগ শুধু বাংলাদেশের বাজারের জন্য নয়। ভারতের বিনিয়োগকারীদের শুধু বাংলাদেশের বাজারকে বিবেচনা করা উচিত হবে না। তারা তাদের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাজারও চিন্তা করতে পারেন। এর কারণ, বাংলাদেশ এখন সড়ক, রেল এবং নদীপথে যোগাযোগ এবং সংযুক্তির বিষয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশ অনেক বড় বাজার হতে পারে।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রস্তাবিত কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ চুক্তি (সেপা) বিষয়ে তিনি ইন্ডিয়া টু ডে’কে বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘সেপা’ কার্যকর হবে। নীতিগতভাবে বাংলাদেশ এ চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী। তবে এ নিয়ে নেগোসিয়েশন শুরুর আগে অনেক কাজ করতে হবে।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে সমস্যা মোদি সরকারের আমলে নিষ্পত্তি হবে। উভয়পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।’
সূত্র: সমকাল
আইএ/ ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২