জাতীয়

মিয়ানমার থেকে ৪৪ টাকা কেজি দরে চাল কিনছে সরকার

ঢাকা, ৮ সেপ্টেম্বর – মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন আতপ চাল আমদানি করতে যাচ্ছে সরকার। প্রতি টন চালের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৫ ডলার। তবে চাল রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে এই দাম সবচেয়ে বেশি। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গতকাল চাল আমদানির এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতির ৩১ আগস্টের প্রতিবেদনে খাদ্যশস্যের সম্ভাব্য আমদানির যে মূল্য দেখানো হয়েছে তার ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে এই চাল আমদানির ব্যয় বেশি পড়ার হিসাব দেখা যাচ্ছে। সেই প্রতিবেদনে ৫ শতাংশ ভাঙা প্রতি টন আতপ চালের মূল্য নির্ধারণে চলতি এফওবি, সম্ভাব্য জাহাজভাড়া এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ভারত থেকে এক টন চাল আমদানি করে দেশের বন্দরে আনতে খরচ পড়বে ৩৭৩ ডলার। থাইল্যান্ড থেকে ৪৪৬ ডলারে, ভিয়েতনাম থেকে ৪১৬ ডলারে এবং পাকিস্তান থেকে ৪১০ ডলারে আনা সম্ভব। ফলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের করা প্রতিবেদনের তথ্যকে উপেক্ষা করেই বেশি দামে চাল আমদানি করা হচ্ছে।

গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৬তম বৈঠকে প্রস্তাবটির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) এই চাল আমদানি করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি ডলারের দর ৯৫ টাকা হিসাবে প্রতি টনের দাম পড়ে ৪৪ হাজার ১৭৫ টাকা। এই হিসাবে এক কেজির দাম হয় ৪৪ টাকা সাড়ে ১৭ পয়সা।

তবে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি হওয়া চালের বাজারমূল্য অপেক্ষা মিয়ানমারের এই দাম কিছুটা কম। সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে খুচরা বাজারে সাধারণ মানের চালের কেজি এখন সর্বনিম্ন ৪৭ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। প্রধান খাদ্যশস্যটির আমদানি শুল্ক কমানোর পর গত এক সপ্তাহে দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকার মতো কমেছে। এক সপ্তাহ আগেও দর ছিল ৫৪ থেকে ৭৫ টাকা।

সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button