জাতীয়

খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত


ঢাকা, ৭ সেপ্টেম্বর – বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। রাজধানীর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে তার। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তার চিকিৎসা পরিচালনা করছেন। প্রতিদিনই তারা বাসায় যাচ্ছেন- পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধপত্র দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ সম্পর্কে বলেন, হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার পর আজ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিতই রয়েছে বলা যায়। মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানেই তার চিকিৎসা চলছে। বোর্ডের সদস্যরা সকাল-বিকাল তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
জানা গেছে, ‘ক্রনিক লিভার ডিজিজ’ এর কারণে সম্প্রতি বেশ কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে। এ কারণে শরীরের বিভিন্ন অর্গানগুলো ওঠানামা করছিল। ফলে তাকে গত ২৮ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৩১ আগস্ট আবারও তিনি গুলশানের বাসায় ফিরে যান।
তবে মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বার বারই বলা হচ্ছে যে, লিভার সিরোসিসের মত রোগের পূর্ণাঙ্গা চিকিৎসা বাংলাদেশে হয় না। ‘বিদেশে উন্নত হেলথ সেন্টারে’ নিতে না পারায় তার ‘লিভার সিরোসিস’ এর চিকিৎসাটা এখানে সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে দিন দিন জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এজন্যে তাকে দ্রুত বিদেশের কোনো উন্নত হেলথ সেন্টারে নেয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দিচ্ছে না।

এর আগে গত ২২ আগস্ট খালেদা জিয়াকে গুলশানের ওই হাসপাতালে নিয়ে হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। গত জুন মাসে একই হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডের ব্লক অপসারণ করে একটি ‘স্টেন্ট’ বসানো হয়েছিল। ওই সময়ে তার হৃৎপিন্ডে আরও দু’টি ব্লক ধরা পড়ে। এক সঙ্গে এতগুলো ব্লক-এর অস্ত্রোপচারের ধকল তার পক্ষে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা কিছুটা সময় নিচ্ছেন।

৭৭ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা। নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করা হয়েছিল তার পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু মুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শর্তের কথা উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করে দিয়েছে সরকার।

সূত্র: বিডি প্রতিদিন
আইএ/ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button