ব্যবসা

রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করা যাবে

ঢাকা, ০৭ সেপ্টেম্বর – এক ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি আয়ের অর্থ এখন থেকে অন্য ব্যাংকেও স্থানান্তর করা যাবে। এ ধরনের অর্থে কেবল রপ্তানিকারকের আমদানি দায় পরিশোধ ও ইডিএফ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া রপ্তানি আয়ের স্থানীয় মূল্য সংযোজন অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের সময় ১৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্নিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, একজন ব্যবসায়ী একাধিক ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে থাকেন। তাঁর হয়তো রপ্তানি হচ্ছে এক ব্যাংকের মাধ্যমে। তবে রপ্তানিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি করছেন হয়তো আরেক ব্যাংকের মাধ্যমে। আবার তিনি হয়তো কম সুদের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণ নিয়ে আরেক ব্যাংকের মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধ করেছেন। তবে এক ব্যাংকের রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের সুযোগ ছিল না। এখন এ সুযোগ দেওয়া হলো।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ের মূল্য সংযোজন অংশ ৩০ দিন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত রপ্তানি আয়ে নিজ ব্যাংকের আমদানি দায় এবং বাল্ক্ক আকারে আমদানি দায় পরিশোধে ইডিএফ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করা যাবে।

ডলার সংকটের কারণে গত ২৯ মে এক সার্কুলারের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন অংশ পরবর্তী কর্মদিবসে নগদায়নের জন্য ব্যাংকগুলোকে বলা হয়। ওই নির্দেশনার পর রপ্তানিকারকদের নিজের আয় ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজনের সময় আবার বাড়তি দরে ডলার কিনতে হচ্ছিল। এর ফলে বিনিময়জনিত লোকসানে পড়ছিলেন তাঁরা। দেখা যায়, রপ্তানি বিল নগদায়নের সময় হয়তো ১০০ টাকা পাচ্ছেন, কিন্তু কোনো পণ্য আমদানির জন্য হয়তো বাজার থেকে ১০৮ টাকায় কিনছেন। যে কারণে গত ৩ আগস্ট এক নির্দেশনার মাধ্যমে রপ্তানি আয়ের স্থানীয় মূল্য সংযোজন অংশ ১৫ দিন পর্যন্ত ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। এখন সে সুযোগ আরও বাড়ানো হলো। এতে রপ্তানিকারক নিজের আয়ে নিজের দায় পরিশোধের সুযোগের ফলে বিনিময়জনিত লোকসানে পড়তে হবে না।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button