ব্যবসা

রেকর্ড উৎপাদনেও বেড়েছে প্যাকেটজাত লবণের দাম

ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর – উৎপাদনে রেকর্ড হওয়ার পরও বেড়েছে লবণের দাম। এক-দেড় মাসের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আয়োডিনযুক্ত লবণের কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা। বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণেই লবণের দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বাজারে এসিআই পিউর, মোল্লা সল্ট, কনফিডেন্স, ফ্রেস, তীর, মুসকান, পূবালীসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত লবণ পাওয়া যায়।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও হাতিরপুলসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত লবণ বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে। মাস খানেক আগেও প্রতি কেজি লবণ কেনা যেতো ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা।

জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে পরিবহন ও উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে বলে জানান প্যাকেটজাত লবণ বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো।

মহাখালী কাঁচা বাজারের মাসুমা স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. আল-আমীন জানান, প্রায় এক মাস ধরে লবণের দাম বেড়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত এক কেজি লবণের সর্বোচ্চ খুচরা দাম ছিল ৩৫ টাকা। যা ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি করা হতো। এখন সব ব্র্যান্ডের প্যাকেটে খুচরা মূল্য ৩৮ টাকা করা হয়েছে। এই দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক মাসের ব্যবধানে প্যাকেটজাত লবণের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ।

গত মৌসুমে দেশে রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) তথ্যমতে, গত মৌসুমে লবণ উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ টনের বেশি। যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এবার লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৫৭ হাজার টন।

বাজারে বেশিরভাগ দোকানে চোখে পড়ে এসিআই পিউর ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত লবণ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসিআই কনজ্যুমার্স ব্র্যান্ডের ব্যবসা পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, প্রায় তিন মাস ধরেই খুচরা দাম ৩৮ টাকা রয়েছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহন ব্যয় যেভাবে বেড়েছে তাতে দাম আরও না বাড়িয়ে বিকল্প নেই।

তবে মিল মালিকরা জানান, মিল পর্যায়ে দাম বাড়েনি। এখনও ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি আবু হানিফ ভূঁইয়া বলেন, মিল পর্যায়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই লবণের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দাম বাড়ানো হয়নি। তবে যেসব কোম্পানি প্যাকেটজাত করে লবণ বাজারজাত করছে, তারা হয়তো বর্তমান অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম সমন্বয় করছে।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button