জাতীয়

একসঙ্গে ৩০০ আসনে না হলে ইভিএম চায় না জেপি

ঢাকা, ০৫ সেপ্টেম্বর – আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চায় জাতীয় পার্টি (জেপি)। নির্বাচন কমিশন তা যদি করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ৩০০ আসনের পুরোটায় কিংবা প্রতিটি আসনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রে এই মেশিন ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করেছে দলটি।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আয়োজিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে এমন সুপারিশ করে। সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জেপি’র সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপের পর শেখ শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে তার দলের অবস্থান তুলে ধরেন। সংলাপে জেপি’র সুপারিশগুলো হলো-

১. নির্বাচন বর্জন, হরতাল, সংঘাত বা অনির্বাচিত ব্যক্তির দেশ পরিচালনায় জাতীয় পার্টি-জেপি বিশ্বাস করে না।

২. বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নির্বাচন কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেনি। মূলত
বৃহৎ রাজনৈতিকদলগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের বাধা সৃষ্টি করে এবং কোন না কোন সময় নির্বাচন কমিশনও এতে জড়িয়ে পড়ে। তাই গণতন্ত্রের চর্চা সঠিকভাবে হয় না। গণতন্ত্রকে রক্ষা বা পাহারা দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

৩. জাতীয় পার্টি জেপি নির্বাচনে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষে। নির্বাচন কমিশন যদি এক সাথে ৩০০ আসনের সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করতে না পারে, তাহলে ইভিএম এ নির্বাচন করা সঠিক হবে না। কিছু আসনে ইভিএম হলো কিছু আসনে হলো না, যেটা ডিসক্রিমিনিশন হয়। কোথাও ব্যালট কোথাও ইভিএম এটি উচিত না। যদি ৩০০ আসনের নির্বাচন ইভিএম এ সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তবে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ৩০০ আসনের কিছু কিছু ভোটকেন্দ্রে ইভিএম এ নির্বাচন করা যেতে পারে।

৪. জাতীয় সংসদের সীমানা বর্তমানে যেভাবে আছে তা বহাল রাখা যেতে পারে। তারা বড় কোন পরিবর্তন না করার পক্ষে।

৫. বিতর্ক এড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে মিডিয়ার সামনে কম কথা বলা প্রয়োজন।

৬. নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু করলে সকল দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তবে, কোন দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করা নির্বাচনে কমিশনের কাজ নয়।

৭. নির্বাচন কমিশনের কাজ যেন নিরপেক্ষ হয়, এটা দৃশ্যমান হতে হবে।

৮. সব দল ও প্রার্থীর প্রতি নির্বাচন কমিশনের সমান ও নিরপেক্ষ আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।

৯. যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী অপরাধী বা যারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি যাতে ভোটকেন্দ্রে ও নির্বাচনে দায়িত্ব না পায় সে বিষয়ে ব্যবস্হা নিতে হবে

১০. প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্বাচনের কমিশনের অধীনে না আনলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩৯টি দলকেই সংলাপে আসার সময় জন্য দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপিসহ নয়টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি। ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছিল ৩০টি দল। এর মধ্যে দু’টি দল (জেপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি) আসতে না পারার কারণ দেখিয়ে পরবর্তীতে সংলাপের জন্য সময় চেয়েছিল। পরে দল দুটিকে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংলাপে বসার সময় দিয়েছিল ইসি।

সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button