জাতীয়

ইভিএম কিনতে নেওয়া হচ্ছে নতুন প্রকল্প

ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর – দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরো ইভিএম (ইলেকট্টনিক ভোটিং মেশিন) কিনতে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইসি সচিবালয় থেকে যথাসময়ে নতুন ইভিএম সরবরাহ করতে পারলে ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। অন্যথায় ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে।

এসময় তিনি আরো বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে সব আসনে সিসি ক্যামেরা মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে ইসির পক্ষ থেকে এত বিশাল সংখ্যক সিসি ক্যামেরা রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব নয়। তাই আউটসোর্সিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই নির্বাচন কমিশনার জানান, স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আগে যেখানে ব্যবহার হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেসব এলাকায় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইভিএম দেওয়া হবে। ইসির বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০টি এবং সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য নতুন প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে ইভিএম কেনার বিষয়টা কমিশনের নয়। এই কার্যক্রম ইসি সচিবালয় করবে। ইসি সচিবালয় থেকে কমিশনের কাছে গাইডলাইন চাইতে পারে।

ইসি আলমগীর বলেন, ২০২৩ সালে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা ধরে নিয়ে ইভিএমের নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সচিবালয় যদি দিতে পারে তবে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোট হবে। কারণ, কেবল অর্থ নয় সবকিছু পাওয়া সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু প্রকল্প পাস না হলে বা বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতিতে অর্থ ছাড় না হলে ইভিএম ব্যবহার সম্ভব হবে না। কমিশনের বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার নিশ্চিত।

সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ৩০০ আসনের সব কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা রাখার ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সম্ভব হলে সব কেন্দ্রের সব ভোটকক্ষেই ক্যামেরা দেওয়া হবে। এটা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হবে। কারণ এই ক্যামেরা সংরক্ষণ ও মেরামতের বিষয় রয়েছে। ভোটের পর তারা সিডি দিবে। সেখানে সবকিছুর রেকর্ড থাকবে।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button