বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

উবারের রাইড শেয়ারে সাত হাজার কোটি টাকা আয়

২০২১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার অবদান রেখেছে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার। এছাড়া উবারের রাইড শেয়ারে ভোক্তাদের কাছ থেকে গত বছর সাত হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। একই সঙ্গে বছরে আনুমানিক এক কোটি ৭০ লাখ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হয়েছে উবার যাত্রীদের।

উবারকে নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা পাবলিক ফার্স্ট’র একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের নাম
‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উবার কী অবদান রেখেছে’।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উবারে চড়েন এমন নারী যাত্রীদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তার কারণে উবারে চড়েন। জরিপের ৯০ শতাংশ যাত্রী যাতায়াতের সুবিধার কারণে উবার ব্যবহার করেন।

উবারের রাইড শেয়ারে ভোক্তাদের কাছ থেকে গত বছর সাত হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। যা মোটামুটিভাবে দেশের জিডিপির শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

আরও বলা হয়, উবার চালকদের সঙ্গে কথা বলে জরিপ করা হয়েছে। তাদের ৭৩ শতাংশ চালক বলেছেন, ২০২১ সালে তারা উবার নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন। যার মাধ্যমে গত বছর সব উবার চালকরা অতিরিক্ত ৫২ দশমিক ২ কোটি টাকা আয় করেছেন, যা তাদের সম্ভাব্য পরবর্তী সেরা বিকল্প আয় বা কাজের উৎসের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি ধরা হয়েছে।

এসব বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবার বাংলাদেশের পরিবহন সেক্টরে বিপ্লব ঘটিয়েছে। উন্নয়নের অভিযাত্রায় দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ, এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জোয়ারে এই গতি ত্বরান্বিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতীর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, সেই লক্ষ্য অর্জনে উবারের মত আরও ব্র্যান্ড আমদের উন্নয়নের অংশীদার হবে।

অনুষ্ঠানে উবারের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পাবলিক পলিসি ও গভর্নমেন্ট রিলেশনস বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর মাইক অরগিল বলেন, ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সুযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে উবার। কিন্তু আমাদের অবদানের পরিমাণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। এই গবেষণার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চালক, যাত্রী ও অর্থনীতির ওপর অবদানের সার্বিক প্রভাব আমরা দেখতে পাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (আইসিটি) সিনিয়র সচিব এ এম জিয়াউল আলম, উবারের পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্ট রিলেশন্সের সিনিয়র ডিরেক্টর মাইক অরগিল, উবার ইন্ডিয়া দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল অপারেশন ডিরেক্টর শৈলেন্দ্রন শিবা, পার্টনার জনাথন ডুপন্ট, পাবলিক ফার্স্টসহ কোম্পানিটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

এম ইউ/০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button