জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী কাঁদলেন, কাঁদলেন চা-শ্রমিকরাও

মৌলভীবাজার, ০৩ সেপ্টেম্বর – গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে চার জেলার চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বিকেল চারটায় বৈঠকটি শুরু হয়।

বৈঠকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় চা-শ্রমিক সোনামনি ও রীতা পানিকার কথা শুনে আবেগে কেঁদে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে কেঁদেছে উপস্থিত চা-শ্রমিকরাও।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই উপজেলার পাত্রখোলা চা-বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে থেকে প্রথমে চা-শ্রমিক রীতা পানিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সালাম জানান। একইসঙ্গে মজুরি বৃদ্ধি করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

চা-শ্রমিক সোনামনি বলেন, আমি আপনার ওপর খুশি আছি। আগে ১২৯ টাকা পেতাম এখন ১৭০ টাকা পাই। আমাদের কোনো অভাব নাই। আপনি সব করে দিয়েছেন। আপনি আমাদের একটা সুবিধা করে দেবেন, যাতে পেট ভরে খেতে পারি। এ সময় তিনি বাগানের স্কুলগুলো সরকারি করার দাবি জানান।

চা-শ্রমিক রীতা পানিকা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা সবসময় আপনার কথা ভেবে এসেছি ও ভেবে যাবো। আমরা জানি, আপনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। সেই স্বাধীনতা নিয়ে আমরা বেঁচে আছি। আমরা চাই আপনার বাবার মতো আপনিও কোনোদিন আমাদের কাছ থেকে সরে যাবেন না। আপনি আমাদের কাছে চিরজীবী থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা চা শ্রমিকরা যে কষ্টে আছি, সেটা আপনি দেখেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনাকে আমাদের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক কাপ চায়ের দাওয়াত দিচ্ছি। আপনি আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আপনাকে আমরা দেখছি, এটা যে আমাদের জন্য কত আনন্দের, সেটা মুখের ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এ সময় রীতা পানিকা কোনো ভুল-ক্রটি হলে ক্ষমা চান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবেগে অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, ‘আপনারা ক্ষমা চাইবেন কেনো। আপনারা যেটা করেছেন সেটা বাঁচার তাগিদে করেছেন। আমি সেটা বুঝি। এ জন্য আগে আমি মালিকদের সঙ্গে বসেছি, এখন আপনাদের সঙ্গে বসলাম’।

এ সময় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button