জাতীয়

মিয়ানমারের মর্টার শেল হঠাৎ করে চলে এসেছে

ঢাকা, ০১ সেপ্টেম্বর – মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে পড়ার প্রতিক্রিয়ার পর দেশটি সতর্ক থাকবে বলেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ এবং ঢাকায় জাপান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্মরণে ‘ট্রিবিউট টু আবে শিনজো’ শীর্ষক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মর্টারশেলগুলো হঠাৎ করে চলে এসেছে। তাদের আমরা জিজ্ঞেস করেছি, তারা আগামীতে সতর্ক থাকবে বলেছে।

এর আগে গত সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি মর্টারশেল এসে পড়ে। তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি এবং কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

শোকসভায় শিনজো আবেকে স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার সময়ে তিনবার জাপান সফরে গেছেন। এবং আবের সঙ্গে আলাপ করে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার অনুদান সহায়তা নিয়ে আসেন। আবেও বাংলাদেশে এসেছেন। বিশ্ববাসীর প্রিয় এই নেতা আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ মর্মাহত।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে জাপান-বাংলাদেশ পার্টনারশিপ গড়ে উঠে। আমাদের মেট্রোরেলসহ বড় বড় অবকাঠামো জাপানের সহায়তায় সম্ভব হচ্ছে।

একে আব্দুল মোমেন বলেন, আবে একজন বন্ধুভাবাপন্ন মানুষ ছিলেন। তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তিনি আমাকে তার বাবার কথা বলতেন। একজন ভালো নেতা হিসেবে পৃথিবীজুড়ে তার খ্যাতি ছিল।

ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশে মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ ও গভীর সমুদ্র প্রকল্পসহ অনেক বড় বড় প্রকল্পে জাইকার মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে জাপান। শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে কাজ করে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আবে বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে এক নির্ভরশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়। জাপানের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ্-আল-মামুন।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/০১ সেপ্টেম্বর ২০২২

Back to top button