আইন-আদালত

হলমার্কের জেসমিনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

ঢাকা, ৩০ আগস্ট – ভুয়া এলসির বিপরীতে জনতা ব্যাংকের ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের জামিন আবেদন বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হয়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিন আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিন ইসলামসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। ওইদিনই দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে জেসমিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, হলমার্কের চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন। প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। সেসব রেকর্ড ব্যাংকটির ওই শাখা থেকে সোনালী ব্যাংকের শেরাটন করপোরেট শাখায় পাঠানো হয়।

এজাহারে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক থেকে ওই কাগজপত্রের বিপরীতে আনোয়ারা স্পিনিং মিলস ও ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের হিসাবে বিলের সমপরিমাণ মূল্য ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা জমা হয়, যা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

দুদকের এ মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রুল মঞ্জুর করে জেসমিন ইসলামের জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল আবেদন করে। একই বছরের ১৬ জুন আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

এরপর জেসমিন ইসলাম আত্মসমর্পণ করেন। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে তার জামিনের বিষয়ে আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ আগস্ট দিন ঠিক করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় এ রায় দেওয়া হলো।

সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ৩০ আগস্ট ২০২২

Back to top button