জাতীয়

কুয়েতে আরও বাংলাদেশি জনবল নিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ঢাকা, ৩০ আগস্ট – কুয়েত সরকারকে বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে আরো পেশাদার এবং দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুয়েতের নতুন আবাসিক রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আলাদওয়ানি বঙ্গভবনে তাঁর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রপ্রধান এ আহ্বান জানান। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য কুয়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আগামী দিনে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কুয়েতের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ও অনুরোধ জানান।

তিনি বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ বিশ্বমানের পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক (আরএমজি), সিরামিক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়েত মাছ, ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার প্লাস্টিক পণ্য এবং নির্মাণ সামগ্রী উৎপাদন করে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।

পরিচয়পত্র গ্রহণ করে রাষ্ট্রপতি দুই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কুয়েতের সঙ্গে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ আশা প্রকাশ করেন এই সম্পর্ক আগামী দিনে আরো জোরদার হবে।

এদিকে, রাষ্ট্রপতি পরে নেপালের নতুন রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন। বঙ্গভবনের মুখপাত্র বলেন, রাষ্ট্রপতি নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলার সময় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের প্রতি নেপালের জনগণের সমর্থন এবং স্বাধীনতার পরপরই নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নেপাল সফর এবং পরবর্তীতে নেপালের রাষ্ট্রপতির ২০২১ সালের ঢাকা সফরের কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, এই সফরগুলো বর্তমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে সাহায্য করেছে। তিনি পারস্পরিক সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ আরো বাড়ানোর ওপরও জোর দেন।

পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল হামিদ কুয়েত ও নেপালের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশে তাদের দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রদূতদ্বয়কে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। সেনাবাহিনীর ব্যান্ড দল সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় সঙ্গীতও বাজায় এবং রাষ্ট্রদূতগণ গার্ড পরিদর্শন করেন।

সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ৩০ আগস্ট ২০২২

Back to top button