ইরাকে সহিংসতায় নিহত অন্তত ২০, কারফিউ জারি
বাগদাদ, ৩০ আগস্ট – ইরাকের রাজধানী বাগদাদে রাতভর ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী এবং শক্তিশালী শিয়া ধর্মগুরু মোকতাদা আল-সদরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, মোকতাদা আল-সদরের অনুগত বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে হামলা চালালে আরো ডজন খানেক আহত হয়েছে।
মোকতাদা আল-সদর রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর সোমবার (২৯ আগস্ট) এ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন । এবং কয়েকটি শহরে অশান্তির পর সেনাবাহিনী দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করেছে।
ইরাকে রাজনৈতিক সংকটের জেরে কয়েক মাস ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিয়া নেতা মোকতাদা আল-সদরের সমর্থকরা তাদের নেতার পদত্যাগের ঘোষণার পরেই সরকারি প্রাসাদে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্তত সাতটি শেল গ্রিন জোনে পড়ে, যেখানে সরকারি ভবন এবং কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। গ্রিন জোনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি চালানোর শব্দ পাওয়ার পর, গোলাবর্ষণের পেছনে কারা ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
নিরাপত্তাবিষয়ক সূত্র বলছে যে, সদরের সমর্থকরা বাইরে থেকে গ্রিন জোনে গুলি চালায় এবং নিরাপত্তা বাহিনী এতে সাড়া দেয়নি বলে দাবি করে তারা।
সুরক্ষিত এলাকায় এর আগেও গুলি চালানো হয়েছিল বলে এএফপি’র একজন সংবাদদাতা বলেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গুলিতে ১৫ জন নিহত ও ৩৫০ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।
যদিও মোকতাদা আল সদরের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে তিনি একই রকম ঘোষণা দেন।
মোকতাদা আল-সদর এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আর এখন আমি রাজনীতি থেকে পুরোপুরি অবসরে যাওয়া এবং আমার সব সংগঠন বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছি’। তবে আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ৩০ আগস্ট ২০২২