জাতীয়

বঙ্গবন্ধু হত্যার স্বরূপ সামনে আনা না গেলে মোশতাক-জিয়ারা আবার জন্মাতে পারে

ঢাকা, ২৯ আগস্ট – বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন না হলে এমন ষড়ন্ত্রকারীরা যুগে যুগে ফিরে আসতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

তিনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার এখনও হয়নি। এখনও মোশতাক, জিয়া, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমরা যে ফিরে আসবেন না এই গ্যারান্টি কিন্তু আমরা কেউ দিতে পারি না।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রক্তাক্ত আগস্ট ও মায়ের কান্না’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) এর আয়োজন করে।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও যাদের বিচার হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে এখনও অভিযোগপত্র হতে পারে বলে মনে করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের যারা কুশীলব, তাদের সবার বিচার হয়নি। এই ঘটনায় যারা বেনিফিশিয়ারি তাদের বিচার হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে প্রটেকশন দেয়ার জন্য সিভিল এবং ‘ল’ ইনফোর্সমেন্ট এজেন্সির যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তারা কি ব্যর্থ হয়েছেন নাকি নিজেদের কচ্ছপের মতো গুটিয়ে রেখেছিলেন, তাদেরও বিচার করা হয়নি। তাই বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে অসম্পূর্ণ। পূর্ণাঙ্গ বিচার হয়নি।’

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩-এর সাব সেকশন টু এর স্মল বি অনুসারে, এখনো চার্জশিট হতে পারে। যারা মারা গেছে, তাদের বিচার হবে না, তবে ততটুকু দেখা যেতে পারে, তিনি জড়িত এই তথ্য পাওয়া গেছে। যেহেতু তিনি মারা গেছেন, তাই তার বিচার করা গেল না।’

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের স্বরূপ সামনে নিয়ে আসা না গেলে এখনও যে মোস্তাক জন্মাবে না, আবার যে জিয়া জন্মাবে না, আবারও যে জুডিশিয়ারি ইতিহাসের কলঙ্ক রচনাকারী আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমরা আসবেন না এই গ্যারান্টি কিন্তু আমরা কেউ দিতে পারি না। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে এসেছেন বলে সাহস নিয়ে বিচার করেছেন। অন্যথায় এই বিচার হতো না।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ তিন দশকেও এর বিচার আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারকার্য চালু হয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত পাঁচজনের ফাঁসি হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা বিদেশে পলাতক রয়েছেন।

আলোচনায় আপিল বিভাগের (অবসরপ্রাপ্ত) বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আসামিদের বর্ণনা ও সাক্ষী অনুযায়ী যারা নাটের গুরু, তাদের বিচার হয়নি। এই মামলার নাটের গুরু ছিলেন জিয়া। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে জিয়া কোনো দিনই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। জিয়া ছিলেন পাকিস্তানের চর। একাত্তরের পর থেকেই জিয়ার লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা।’

সভায় একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায়, বীরপ্রতীক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সাংসদ নবী নেওয়াজ খাঁন, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র: ঢাকাটাইমস
এম ইউ/২৯ আগস্ট ২০২২

Back to top button