ইউরোপ

পর্তুগালে আগুনের টর্নেডো

লিসবন, ২৭ আগস্ট – সম্প্রতি পর্তুগালে বিশাল আগুনের কুণ্ডলি পাকানো একটি টর্নেডো দেখা গেছে। আলভাও ন্যাচারাল পার্কে দাবানল নিয়ন্ত্রণকারী দমকল বাহিনীর ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধরা পড়ে।

বিবিসি জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণের আগে টর্নেডোতে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমি পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার খবর দিয়েছে।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, আগুনের বিশালাকার কুণ্ডলি পাকিয়ে তেড়ে আসছে টর্নেডো।

সাধারণত কোনো স্থানে নিম্নচাপ বা লঘুচাপ সৃষ্টি হলে ওই স্থানের উষ্ণ বাতাস ওপরের দিকে উঠে যায় এবং তখন ওই শূন্য জায়গা পূরণের জন্য চারদিকের শীতল বাতাস দ্রুত বেগে ধাবিত হয়। কালবৈশাখীর মতো এভাবেই টর্নেডোর উৎপত্তি হয়।

তবে কালবৈশাখীর মতো বজ্রঝড়ের সঙ্গে আবহাওয়ার আরো কিছু উপাদান যোগ হয়ে তৈরি হয় এ টর্নেডো। এটি মূলত স্থলভাগে তৈরি হওয়া একটি বায়ুচাপ, যা প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে থাকে এবং খুব স্বল্প সময়ের জন্য সক্রিয় থাকে।

টর্নেডোর বায়ুপ্রবাহ হচ্ছে ঘূর্ণন এবং বাতাসের প্রচণ্ড গতিবেগের জন্যই এর ধ্বংসক্ষমতা অনেক বেশি। সহজভাবে বলা যায় যে টর্নেডো যে পথ দিয়ে যায় সেখানে সব কিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে যায়।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই টর্নেডো দেখতে সরু ফানেলের মতো হয়, যার চিকন অংশটি ভূমি স্পর্শ করে। যদিও টর্নেডো বিভিন্ন আকার কিংবা আকৃতির হতে পারে।

মাটির কাছে অনেক সময় ছোট ধূলির ঘূর্ণির মতো দেখায়। তবে ঘূর্ণিঝড় যেমন সমুদ্রে উৎপত্তি হয়, টর্নেডোর ক্ষেত্রে তা নয়; বরং এটি যেকোনো জায়গায়ই হতে পারে।

অনেক সময় একটি টর্নেডো থেকে একাধিক টর্নেডো তৈরি হতে পারে, যাকে টর্নেডো পরিবার বলা হয়।

সূত্র: কালের কন্ঠ
আইএ/ ২৭ আগস্ট ২০২২

Back to top button