ইসলাম

স্বামীকে পরিবার বিচ্ছিন্ন করা জঘন্য পাপ

নারী মায়ের জাতি, মহানবী (সা.) মাকে শ্রদ্ধা করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। নারীদের উচিত সে সম্মান ধরে রাখা। আমাদের সমাজে কিছু কিছু নারী এমন পাওয়া যায়, যারা তাদের স্বামীকে পরিবার বিচ্ছিন্ন করতে চায়। একান্ত নিজের করতে গিয়ে স্বামীকে তারা মা-বাবা, ভাই-বোনসহ অন্য আত্মীয়দের থেকে আলাদা করে ফেলে।

যার ফলে ওই নারী ও তার স্বামীর দুনিয়া-আখিরাত ধ্বংসের মুখে পড়ে যায়। এর প্রভাব তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ওপরও পড়ে।
অথচ ইসলাম আত্মীয় সম্পর্ক বজায় রাখাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। হোক তা রক্ত ও বংশের সূত্রে কিংবা বৈবাহিক সূত্রে। আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা এবং তাদের হক আদায় করার প্রতি মহান আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন। এবং পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর বিবেকসম্পন্ন বান্দাদের পরিচয় দিতে গিয়ে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায়ে যত্নবান বান্দাদের কথা উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘(তারাই বিবেকবান) আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ দিয়েছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে এবং তাদের প্রতিপালককে ভয় করে আর ভয় করে কঠোর হিসাবকে। ’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২১)

মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওপর আত্মীয়স্বজনের কিছু অধিকার রেখেছেন এবং সেগুলো রক্ষার প্রতি বান্দাকে বিশেষভাবে আদেশ করেছেন। ইরশাদ করেছেন, ‘হে মানবজাতি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে। আর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার নামে তোমরা একে অন্যের কাছে চাও। তোমরা সতর্ক থাকো রক্তসম্পর্কিত আত্মীয়দের ব্যাপারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের পর্যবেক্ষক। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১)

উল্লিখিত আয়াতে মহান আল্লাহ আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলেছেন। যারা তাদের স্বামীদের রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের থেকে আলাদা করতে চায়, তারা জেনে হোক কিংবা না জেনে, তাদের স্বামীকে মহান আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত করতে চায়। তা ছাড়া আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখা ঈমানের দাবি। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬১৩৮)

তাই প্রতিটি নারীর উচিত, তাদের স্বামীদের পরিবার বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা না করে, উল্টো আত্মীয়তার সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া, এতে নিজেদের জীবনেও সুখ-শান্তি ও বরকত অনুভূত হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমি মহানবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার রিজিক প্রশস্ত ও আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। ’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৫৫৫৯)

মহান আল্লাহ সবাইকে সুবুদ্ধি দান করুন। আমিন

আইএ

Back to top button