ইসলাম

কোরআন ও বিজ্ঞানে জীবন ও মৃত্যুর সখ্য

জীবনের সঙ্গেই আছে মৃত্যুর উপাদান। জীবন ও মৃত্যু ওতপ্রোতভাবে জড়িত। জীবন ও মৃত্যুর এই সখ্য সৃষ্টিগত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মহিমান্বিত তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব যার করায়ত্ত।

তিনি সব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান। যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। ’ (সুরা মুলক, আয়াত : ১-২)
মানুষের কোষের মৃত্যু না হলে পৃথিবী কেমন সমস্যায় পড়ত! মানুষের দেহ অসংখ্য কোষের সমন্বয়ে গঠিত। এই কোষের শতকরা ১ থেকে ১.৫ ভাগের স্বাভাবিক নিয়মে মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিনই। কোষের এই চলমান মৃত্যুকে যদি কোনো বৈজ্ঞানিক কৌশলে বন্ধ করে দেওয়া যায়, তাহলে দেহের ওজন প্রতিদিন ন্যূনভাবে ওই হারে বেড়ে এটি প্রায় ৭৫-১০০ দিনের মধ্যে দ্বিগুণ ওজনে পৌঁছে যাবে। যেমন—

এক মণ ওজনের একটি মানুষ :

প্রথম বছরে বেড়ে হবে ১২ মণ,

দ্বিতীয় বছরে ১৪৪ মণ,

তৃতীয় বছরে ১৭২৮ মণ,

চতুর্থ বছরে ২০৭৩৬ মণ,

এভাবে ৭০ বছর বয়সে তার ওজন ও উচ্চতা হিমালয় পর্বতকে ছাড়িয়ে যাবে।

এভাবে ১০০ বছরে এ মানুষটির দেহের ভর গোটা হিমালয় ও আলপস রেঞ্জের ভরের সমান হয়ে পড়বে। ১২০ বছরে মানুষটির ওজন হয়ে যাবে পৃথিবীর ওজনের ১০ ভাগের ১ ভাগ বা এক দশমাংশ। এ অবস্থায় পৃথিবীতে মাত্র ১০ জন মানুষ বাস করতে পারবে। ক্ষমতা ও খাদ্য চ্যালেঞ্জ জয় করে হয়তো দুয়েকজন বেঁচে থাকবে। মৃত্যুহীন হওয়ায় ২০০ বছর একজন মানুষ পৃথিবীর ভরের চেয়েও বেশি ভরের হয়ে যাবে। এ অবস্থায় পৃথিবীর চিত্র ভিন্ন কিছু হতো!

আইএ

Back to top button