অপরাধ

সাঁতরে পালানোর সময় পুলিশ সদস্যকে ধরলেন অন্তঃসত্ত্বা তরুণী

ঢাকা, ২৬ আগস্ট – আত্মরক্ষা করতে নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এজন্য কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু নির্যাতিত তরুণীর চেষ্টায় অবশেষে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার আহম্মেদ। তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কীর্তনখোলা লাগোয়া বধ্যভূমি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম। তিনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্য কাওছার আহম্মেদকে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার বাড়ি বরগুনা জেলার আমড়াঝুড়ি গ্রামে। এছাড়া মামলার বাদীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।

মামলায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ সদস্য কাওছার আহম্মেদ গত জানুয়ারি মাস থেকে স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে বরিশাল নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ আলেকান্দা বুকভিলা গলিতে তার (বাদী) পিতার বাসার দোতলায় ভাড়া ওঠেন। এ সূত্র ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় এবং কাওছার আহম্মেদের এক ব্যাচমেট পুলিশ সদস্যের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার কথা বলে সখ্য বাড়ান। তবে পর্যায়ক্রমে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কাওছার নিজেই ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

কোতোয়ালি থানা থেকে জানানো হয়, দুই মাস আগে তরুণীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ার পর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর কাওছারকে জানালে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বৃহস্পতিবার কাওছার কীর্তনখোলার তীরে বধ্যভূমি এলাকায় রয়েছে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে আটক করেন তরুণী।

যদিও ওই এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দুপুরের দিকে গেঞ্জি পরিহিত (কাওছার) যুবককে দুই নারী ও একজন পুলিশ সদস্য (সাদা পোশাকে) এসে ধরে ফেলে। এসময়ে পুলিশ সদস্য ধরে ফেলা ব্যক্তিকে হাতে হ্যান্ড কাপ পরান। তখন আটক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন। এ নিয়ে জটলা হয়। শেষে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক সদস্য হ্যান্ড কাপ খুলে দিতে বলে। হ্যান্ড কাপ খুলে দিলে দুই নারী ওই যুবককে ধরে রাখে। তবে তাদের হাত ফসকে দৌঁড়ে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন যুবক। ট্রলারে সেখান থেকে গিয়ে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।

সূত্র: আমাদের সময়
এম ইউ/২৬ আগস্ট ২০২২

Back to top button