জাতীয়

এখন আমাদের ভিক্ষুকের জাতি বলার দুঃসাহস কারও নেই: তাজুল

ঢাকা, ২৫ আগস্ট – আমাদের ভিক্ষুক-মিসকিনের জাতি বলবে পৃথিবীতে এমন কারো দুঃসাহস নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার কয়েকদিন আগেও আমাদের ভিক্ষুক ও মিসকিনের জাতি বলেছে। এখন কেউ বললে জোর করে বলবে, তাদের থেকে আমাদের অবস্থান ভালো।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপিএইচই ভবনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের সব মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার থাকবে। কেউ কাউকে ধর্ম পালনে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবে না। এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা যাবে না। রাষ্ট্র হবে মানুষের জন্য। সে রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ থাকতে পারে। সেজন্য বঙ্গবন্ধু ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের কথা বলেছেন।

মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমলের ২৫ বছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১২৫ ডলার। বঙ্গবন্ধু সেটিকে সাড়ে তিন বছরে ২৭৭ ডলারে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলাম তখনই আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়, কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি, লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের যে সাহসী পদক্ষেপ সেগুলো অনুসরণীয়।

তিনি বলেন, ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে দেশে আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা দরিদ্র থেকে আরও দরিদ্র হয়েছি, ভিক্ষুক ও মিসকিনের জাতি হয়েছি। আজকে যে উন্নতি হয়েছে এখন প্রতিটি মানুষ ভালো কাপড় পড়ে। এক সময় গ্রামের বাজারে কোনো মানুষ প্যান্ট পরে উঠবে সেটি কল্পনাও করা যায়নি। এমন পরিবর্তন দেখে বলা যায় সব খাতে পরিবর্তন হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বৈষম্য আমাদের অনেক কম। গ্রামেও কেউ না খেয়ে থাকে না। আমরা ভালো একটি জায়গায় আছি। কিন্তু কোভিড এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও তাইওয়ান-চীন ইস্যুতে সারাবিশ্বে প্রভাব ফেলেছে। এটি আমাদের ব্যর্থতা নয়, এখানে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা সেটিকে এড়াতে পারব না। কারণ আমরা বিশ্বের একটি অংশ। এখানে যেসব সমস্যা হচ্ছে সেগুলো আমাদের অনেক ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ মহসীন, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বক্তব্য দেন। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: জাগোনিউজ
আইএ/ ২৫ আগস্ট ২০২২

Back to top button