পশ্চিমবঙ্গ

ফেসবুক পোস্টে বাম-কংগ্রেসকে একজোট হওয়ার ডাক সুকান্ত মজুমদারের, জোর চর্চা রাজনৈতিক মহলে

কলকাতা, ২৫ আগস্ট – বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফেসবুক পোস্ট ঘিরে হইচই রাজনৈতিক মহলে। মঙ্গলবার রাতে করা এই পোস্টে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে সিপিএম-কংগ্রেসকেও বাংলায় একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি। এক্ষেত্রে অবশ্য দলমত নির্বিশেষে তৃণমূলের নামটি কেন তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকে মনে করছেন, সিপিএম-কংগ্রেসকে (Congress) পাশে চাইলে বিতর্ক হতে পারে। তাই সেই বিতর্ক এড়াতে তৃণমূলের নামটি কৌশলে তিনি জুড়ে দিয়েছেন। বঙ্গে বিজেপির সাফল্যের গ্রাফ যখন ক্রমশ নামছে, তখন কি সরকার বিরোধিতায় সিপিএম-কংগ্রেস সমর্থকদের মন পেতে চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির? তেমনই জল্পনা সুকান্তর এদিনের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। বিভিন্ন ইস্যুকে তুলে ধরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক এই ফেসবুক পোস্টের একদম শেষের অনুচ্ছেদে সুকান্ত লিখছেন, “সময় এসেছে বিজেপি (BJP), তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস ভেদাভেদকে দূরে সরিয়ে রেখে বাংলার স্বার্থে ১০ কোটি বাঙালির স্বার্থে সকল শ্রেণির সকলস্তরের মানুষকে একত্রিত হয়ে রাজ্য সরকারের ভুল নীতি, খামখেয়ালিপনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।”
বিজেপির বিক্ষুব্ধ শিবিরের লোকজন মনে করছে, তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না বিজেপি। অনেকক্ষেত্রে বামেরা টেক্কা দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। তাই কৌশলে বাম-কংগ্রেসের মতো অন্য মতাদর্শের রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যখন কংগ্রেস মুক্ত ভারতের ডাক দিয়েছে। বিজেপি নেতারা প্রবল সিপিএম (CPM) বিরোধী। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকেই বামেরা মূল শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তখন বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসকে লড়াইয়ে পাশে পাওয়ার আবেদন জানিয়ে সুকান্ত মজুমদারের এই একজোট হওয়ার ডাক কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই।
কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির এই ডাককে আমল দিতে চায়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) কটাক্ষ, “বিজেপি না ঘরকা না ঘাটকা।” সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে সুকান্ত মজুমদারের এই ফেসবুক পোস্ট বিশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আইএ/ ২৫ আগস্ট ২০২২

Back to top button