শিক্ষা

হলিক্রস ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু তদন্তে কমিটি

ঢাকা, ২৪ আগস্ট – রাজধানীর হলিক্রস কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী পারপিতা ফাইহারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।

বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর।

তিনি বলেন, হলিক্রস কলেজের এক শিক্ষার্থীর (পারপিতা ফাইহা) অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ডিআইএ-র উপ-পরিচালক ড. রেহানা খাতুনকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আরেক সদস্য শিক্ষা পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন। কমিটি আজ থেকেই কাজ শুরু করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পারপিতার একাধিক সহপাঠী অভিযোগ করেন উচ্চতর গণিতে ফেল করার অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে পারপিতা। এ বছর প্রথম সাময়িকী পরীক্ষায় উচ্চতর গণিতে সি ও ডি শাখার ১০২ জনের মধ্যে ৩৫ জন ফেল করেছে। আর দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় ফেল করেছে ৫৫ জন। দুই পরীক্ষায়ই পারপিতা ফেল করে। কারণ সে গণিত শিক্ষক শোভন রোজারিও- এর কাছে প্রাইভেট পড়েনি।

এ অভিযোগ সর্ম্পকে বক্তব্য জানতে একাধিকবার শোভন রোজারিওকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে কলেজ কৃর্তপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানতে চান কয়েকজন অভিভাবক। এরপর অধ্যক্ষের পক্ষে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন সিনিয়র শিক্ষক শিখা রায়। তিনি পারপিতা ফাইহার মৃত্যুর ঘটনায় গণমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন সঠিক নয় বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে ফাইহা নবম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলো। যা সঠিক নয়। সে হলিক্রস কলেজে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ৭ম শ্রেণির পরীক্ষায় সে ২৭তম স্থান অর্জন করে। এরপর করোনার কারণে আমরা সব পরীক্ষা নেইনি। অষ্টম শ্রেণিতে সে পরীক্ষায় ৩২তম স্থান করে। সে প্রথম স্থানে কখনোই আসেনি। যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক।

পরীক্ষায় ফেলের অপমান সইতে না পেরে পারপিতা ছাদ থেকে লাফ দিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে অভিযোগটি উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের প্রশাসন অনেক স্বচ্ছ। অভিভাবকরা চাইলেই শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহজেই দেখা করতে পারেন। তারপরও আমরা অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৪ আগস্ট ২০২২

Back to top button