জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট

ঢাকা, ২৩ আগস্ট – আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার সকালে কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর মাধ্যমে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিপক্ষে মতামত জানালেও সেটি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে।

গত ১৭ জুলাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে ইসি। কমিশনের পক্ষ থেকে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই সংলাপ অবশ্য বিএনপি ও তার জোটের শরিকরা বর্জন করেছে। ১৫ দিনে সংলাপে অংশ নেয় ২৮টি দল। এর মধ্যে ১৫টি দলই ইভিএমের বিপক্ষে মতামত দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল, ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।

তবে ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কঠিন। ৮০টির মতো আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা আছে। তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, যদি নতুন মেশিন কেনা না হয়, তাহলে ১০০ আসনে ভোট করতে গেলেও সমস্যার মুখে পড়তে হবে।

বাংলাদেশের বিবদমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভোটে ইভিএম ব্যবহার নিয়েও আছে বিভক্তি। আওয়ামী লীগ এবং সমমনারা ইভিএম চাইলেও বিএনপি এবং সমমনারা এর ঘোর বিরোধী। অন্যদিকে বিএনপি ও তার জোটের শরিকদের অবস্থান হলো, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো ভোটে অংশ নেবে না। তারা ইভিএম ব্যবহারেরও ঘোর বিরোধী। সেই হিসাবে ইভিএমের বিরোধিতাকারীর সংখ্যাই বেশি।

সূত্র: ঢাকাটাইমস
এম ইউ/২৩ আগস্ট ২০২২

Back to top button