আইন-আদালত

ইসি গঠনে কে কার নাম প্রস্তাব করেছেন, জানতে চান হাইকোর্ট

ঢাকা, ২৩ আগস্ট – নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য বিভিন্ন দল ও ব্যক্তিদের মধ্যে কে কার নাম সার্চ কমিটিতে প্রস্তাব করেছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

একই সঙ্গে আদালত ইসি গঠনে নাম প্রস্তাবকারী ব্যক্তি বা দলের নাম প্রকাশ না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন রুলে।

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নির্বাচন কমিশন গঠনে কে কার নাম প্রস্তাব করেছেন তা জানার দাবি করে আসছিলেন কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই।

গত ২৩ জুন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ চার বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন কমিশন গঠনে কোন রাজনৈতিক দল কার নাম সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব করেছিল, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে রিট করেন।

গতকাল সোমবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রিটের শুনানি শেষে আদেশের এ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। ওই দিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তানিম হোসেইন ও সাইফুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি রাজনৈতিক দল সহ সবার কাছে ইসি গঠনে যোগ্য নাম প্রস্তাব আহ্বান করে। মোট ৩২২ জনের নামের প্রস্তাব আসে অনুসন্ধান কমিটির কাছে।

তবে কোন দল বা ব্যক্তি তাদের নাম প্রস্তাব করেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও কে কার নাম প্রস্তাব করেছেন তা জানানো হবে না বলে আগেই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল।

জানা যায়, ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তির নাম সুপারিশে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের পূর্ণ তথ্য এবং কে কার নাম প্রস্তাব করেছে, সেসব তথ্য চেয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য অধিকার অধিশাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন বদিউল আলম মজুমদার।

সেখান থেকে কোনো তথ্য না পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন সুজন সম্পাদক। এখানেও কোনো সাড়া না পেয়ে তথ্য কমিশনে অভিযোগ করেন তিনি।

যাচিত তথ্য প্রদানযোগ্য নয় উল্লেখ করে গত ৭ জুন অভিযোগ খারিজ করে দেয় তথ্য কমিশন। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয় হাইকোর্টে।

সূত্র: ঢাকাটাইমস
এম ইউ/২৩ আগস্ট ২০২২

Back to top button