জাতীয়

সংলাপের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে যে ১০ মতামত জানাল ইসি

ঢাকা, ২২ আগস্ট – সম্প্রতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাবসমূহ পর্যালোচনা করে মতামত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়ালের সই করা এই মতামত ইসির যুগ্ম সচিব (পরিচালক-জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

সংলাপের সারংক্ষেপে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবকে ১০টি ভাগ করে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছে ইসি। মতামতে ইসি বলেছে-

♦ ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি এবং সমর্থন দুই-ই রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনো স্থির কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম-এর ব্যবহার বিষয়ে কমিশন যথাসময়ে অবহিত করবে।

♦ দেশি এবং বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকগণকে ভোট পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়া হবে। সামর্থ্য সাপেক্ষে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করা হবে।

♦ পরাজয় মেনে না নেয়ার মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। অর্থশক্তি ও পেশিশক্তি প্রয়োগের অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে রাজনৈতিক নেতৃত্বে সমঝোতা ও মতৈক্য প্রয়োজন।

♦ কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করতে পারে না ইসি। তবে সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য শেষ পর্যন্ত আহ্বান করে যাবে।

♦ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও লেভেল প্লেইং ফিল্ডের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের পরামর্শের প্রেক্ষিতে ইসি তার সুপারিশে বলেছে, কমিশন নির্বাচনে সকল দলের, বিশেষত প্রধানতম রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তরিকভাবে প্রত্যাশা করে।

♦ আগামী নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে প্রশাসনের কর্মকর্তগণ ছাড়াও কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বিভাগ থেকে কর্মকর্তাদের নিয়োগদানের বিষয়টি কমিশন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে দেখবে।

♦ একই মঞ্চ থেকে সব দলের প্রার্থীদের বক্তব্য প্রদানের এবং প্রচারণার নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করার, নির্ধারিত স্থানে সকল প্রার্থীর পোস্টার লাগানো বা লটকানোর ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনে একই পোস্টারে সকল প্রার্থীর প্রচারণার ব্যবস্থা করার প্রস্তাবটি আধুনিক। এতে নির্বাচনি ব্যয় কমে আসতে পারে, সহিংসতা হ্রাস পেতে পারে। রাজনীতিতে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির নতুন সংস্কৃতির প্রচলন হতে পারে।

♦ ইউটিলিটি বিল বাকি থাকার কারণে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য বিষয়ক বিধানটি যৌক্তিক করার বিষয়ে কমিশন বিবেচনা করবে বলেও মতামত ব্যক্ত করেছে।

♦ নির্বাচন কমিশন মনে করে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।

♦ কমিশন নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সংবিধান ও আইনে প্রদত্ত ক্ষমতা সততা ও সাহসিকতার সাথে প্রয়োগ করতে বদ্ধপরিকর।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গত জুলাই মাসে দেশের ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৮টির সঙ্গে সংলাপ করেছে। ৯টি দল এই সংলাপ বর্জন করেছে। বাকি দুটি দলের সাথে সেপ্টেম্বরে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ২২ আগস্ট ২০২২

Back to top button