টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমাদের প্রতি দর্শকদের কোনো প্রত্যাশা নেই
ঢাকা, ২২ আগস্ট – ঘরের মাঠে প্রথমে অস্ট্রেলিয়া, তারপর নিউ জিল্যান্ড। টানা দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল টাইগররা। কিন্তু স্পিন উইকেটে সিরিজ জিতে বিশ্বকাপে ভরাডুবি হয় রিয়াদ-মুশফিকদের। হারতে হয়েছে স্কটল্যান্ডের সঙ্গেও। সুপার টুয়েলভে আসেনি কোনো জয়। সেই থেকে ১৯টি বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র চারটিতে, সিরিজ হেরেছে জিম্বাবুয়ের কাছেও।
অথচ সামনের দিনগুলোতে একের পর এক টি-টোয়েন্টিই খেলতে হবে বাংলাদেশ দলকে। যার শুরুটা হচ্ছে এশিয়া কাপ দিয়ে। এরপর রয়েছে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তিন আসরেই খেলতে হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে আশাবাদী মন্তব্য করতে পারছেন না দলের কেউই।
সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সরাসরি মেনেই নিয়েছেন, এখন তাদের ওপর মানুষের প্রত্যাশা খুব বেশি নেই। তবে তাই বলে আগেই হেরে বসে থাকার পক্ষে নন সাকিব। বরং ছোট ছোট উন্নতি করে প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রত্যয় সাকিবের।
তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, মানুষ এখন আমাদের থেকে বেশি আশা করে না। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে, যেহেতু আমাদের রেকর্ডটাই… গত ১৬-১৭ বছর ধরে খুব ভালো কিছু করতে পারিনি। এখানে-সেখানে কিছু করেছি কিন্তু ভালো জায়গায় পারিনি, ধারাবাহিকভাবে করতে পারিনি।’
সাকিব আরও বলেন, ‘এমন না যে আমরা কখনও করে দেখাইনি। আমি যদি এক-দুইবার, তিনবার করে দেখাতে পারি, তার মানে হলো আমাদের ভেতরে সেই সামর্থ্যটা আছে। আমার কথা হলো, সেটা কতটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারি। যেটা আমরা গত কিছুদিন ধরে করতে পারছি না।’
নিজেদের শক্তির জায়গাগুলোকে পুরোপুরি ব্যবহারের দিকে জোর দিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘আমরা যদি আমাদের রিসোর্সগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি, আমার কাছে মনে হয় যে আমরা ওরকম একটা দল হিসেবে পরিণত হবো যেখানে আমরা নিয়মিত ভালোভাবে ম্যাচ খেলতে পারবো, জেতা শুরু করবো।’
‘যদি হেরেও যাই শেষ পর্যন্ত খেলে হেরে গেলাম। যেটায় মানুষ বুঝবে যে আমাদের মধ্যে একটা উন্নতি হচ্ছে। এখনকার মতো না যে আগেই হেরে যাচ্ছি, এক ইনিংসেই হেরে যাচ্ছি। প্রতিপক্ষের যতটা কাছাকাছি যেতে পারবো, ততটাই উন্নতির ছায়া সবাই দেখতে পারবে।’
এসময় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের গুরুত্ব বুঝিয়ে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি এখন এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে, আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো এটাতে বিনিয়োগ করা, কীভাবে এই ফরম্যাটে ভালো খেলতে পারি সেটা দেখা। কারণ আল্টিমেটলি আমি যা দেখছি এই ফরম্যাট বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় হবে।’
সূত্র: দেশ রূপান্তর
এম ইউ/২২ আগস্ট ২০২২