কুমিল্লা, ২২ আগস্ট -উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত এবং জ্ঞানের পরিধি বিস্তারে মাস্টার অব ফিলোসফি (এমফিল) এবং ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) প্রোগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে জ্ঞানের বিভিন্ন শাখার গভীরতা অর্জনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোগ্রামদ্বয় চালু থাকলেও প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পার করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এখনও সেটি চালু করতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানা সীমাবদ্ধতার কথা বললেও এতে উচ্চশিক্ষার সুষ্ঠু মান নিশ্চিত হচ্ছেনা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিভাগ এমফিল-পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর আবেদন করলেও প্রশাসন বলছে ডিগ্রিধারী শিক্ষকের অভাবে চালু করা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমসাময়িক কালে প্রতিষ্ঠিত হলেও সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে এমফিল-পিএইচডি প্রোগ্রাম। অথচ একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েও পিছিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের মার্চে এমফিল-পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে নীতিমালা অনুমোদন করা হয়। কিন্তু মে মাসে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও করোনার কারণে তা আটকে যায়।
তবে এমফিল-পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে গত ১১ আগস্ট নতুন কমিটি করা হয়েছে৷ ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এমফিল আগের পদ্ধতি। এখন নতুন যে শিক্ষা কার্যক্রম এটাকে বলা হয় অবজেক্টিভ বেইসড এডুকেশন (ওবিই)। এটা এমন একটা শিক্ষা পদ্ধতি যে কারিকুলামের আলোকে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হলে গুণগত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করা যাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আঞ্চলিক ও বিশ্ব র্যাংকিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। অধ্যাপক এবং ডক্টরেট ডিগ্রিধারী সহযোগী অধ্যাপকদের সীমাবদ্ধতার কারণে এদিক থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। আমরা ওবিই এর সাথে সমন্বয় করে প্রাথমিকভাবে মাস্টার্স ডিগ্রি চালু করবো। এবং পরবর্তীতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করবো। ২২ তারিখ মিটিং করবো এবং এই প্রোগ্রাম চালু করার জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা নিব।
ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, এমফিল-পিএইডি প্রোগ্রাম ছাড়া একটা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণতা পায় না। এ প্রোগ্রামগুলো একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণা খাতে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এমফিল-পিএইচডি ছাড়া একটা বিশ্ববিদ্যালয় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় না। এ প্রোগ্রামগুলো চালু করার জন্য আমরা কমিটি গঠন করেছি এবং নীতিমালা তৈরি করেছি। আশা করি অতিদ্রুত এই প্রোগ্রামগুলো আমরা চালু করতে পারবো।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২২ আগস্ট ২০২২