দক্ষিণ এশিয়া

ইমরান খানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করলো পাকিস্তান

ইসলামাবাদ, ২১ আগস্ট – পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তৃতার লাইভ সম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে গতকাল শনিবার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির মিডিয়া রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ।

রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

শনিবার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় কয়েকজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা, এক নারী বিচারক এবং পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন ইমরান খান। পুলিশ হেফাজতে ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে দেওয়া জ্বালাময়ী ওই বক্তৃতার কয়েক ঘণ্টা পরই এই ঘোষণা দেয় পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি (পিইএমআরএ)।

এক বিবৃতিতে পিইএমআরএ জানায়, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ঘৃণামূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং জনসাধারণের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। তাই সব স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে ইমরান খানের লাইভ বক্তৃতা সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পিইএমআরএ-এর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইমরান খানের রেকর্ড করা বক্তৃতার ক্ষেত্রেও আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নিরীক্ষণ এবং সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার পরেই সম্প্রচারের অনুমতি দেওয়া হবে।

এর আগে শনিবারের সমাবেশে তার চিফ অফ স্টাফ শাহবাজ গিলকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি করেন ইমরান খান। তিনি অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে বিবৃতি আদায় করার জন্যই পুলিশ গিলের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে। তবে সরকার ও পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পিটিআই প্রধান ইমরান খান শনিবার বিচার বিভাগকে পক্ষপাতদুষ্ট আখ্যায়িত করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি ইসলামাবাদের আইজি, ডিআইজি ও নারী বিচারককে ছাড়বেন না। শাহবাজ গিলের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার হুমকি দেন।

সমাবেশের বক্তৃতার সময়, ইমরান খান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চোরের দলের পক্ষে না দাড়িয়ে জনগনের পাশে দাড়ানো উচিৎ।

যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী খানের এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ, পাকিস্তান পিপলস পার্টি, জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজল এবং মুতাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তানের মতো রাজনৈতিক দলগুলি খান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায় বিচার বিভাগকে ।

সূত্র: এনডিটিভি
এম ইউ/২১ আগস্ট ২০২২

Back to top button