ইউরোপ

শস্য নিয়ে ইউক্রেনের বন্দর ছাড়লো আরও ২ জাহাজ

কিয়েভ, ২০ আগস্ট – শস্যবোঝাই আরও দুই জাহাজ ইউক্রেন ছেড়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৬ হাজার ৩শ টন সূর্যমুখী তেল এবং ২৫ হাজার টন গম নিয়ে ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে জুমরাত আনা এবং এমভি ওসেন এস নামের দুটি জাহাজ। খবর বিবিসির।

দুদিন আগেই অপর একটি জাহাজ ইউক্রেনের চরনোমোরস্ক বন্দর ছেড়েছে। ফলে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দর দিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৭টি শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে গেছে। কিন্তু জুমরাত আনা এবং এমভি ওসেন এস জাহাজ দুটি কোন দেশের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।

তবে চুক্তির আওতায় প্রতিটি জাহাজই প্রথমে তুরস্কে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখান থেকে পরে অন্য দেশে যাচ্ছে শস্যবোঝাই এসব জাহাজ।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে সংঘাত এখনও অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিপুল পরিমাণ শস্য দেশটিতে আটকা পড়ে। ফলে এ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। কিন্তু তুরস্ক এবং জাতিসংঘের উদ্যোগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে শস্যবোঝাই জাহাজ নিরাপদে বিভিন্ন বন্দর ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে চুক্তি হয়।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত জাপোরিঝজিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন ও পরীক্ষা করে দেখার জন্য জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের অনুমতি দেওয়া হবে। পুতিনের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর টেলিফোনে আলাপের পর ক্রেমলিন এমন ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছিলেন, তিনি ওই পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ওই স্থাপনা ঘিরে সামরিক তৎপরতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং একই সঙ্গে তিনি পরিদর্শনকারীদের অনুমতি দিতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

গত মার্চ মাস থেকে ইউরোপের বৃহত্তম ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সেখানে কাজ করছে ইউক্রেনীয় কর্মীরাই।

কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে এই স্থাপনার ওপর গোলাবর্ষণের কারণে পারমাণবিক দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক স্থাপনার ওপর এই হামলার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দায়ী করছে।

অপরদিকে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের প্রধান পাইপলাইন ফের বন্ধ রাখতে যাচ্ছে রাশিয়া। দেশটির জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রোম জানিয়েছে, নড স্ট্রিম-১ পাইপ লাইনটি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অংশ হিসেবে চলতি মাসের শেষের দিকে তিন দিন বন্ধ থাকবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার অনির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণের আদেশের ফলে ইউরোপে এরই মধ্যে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। আকাশচুম্বী হয়েছে মূল্যস্ফীতি। এমন পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বাল্টিক সাগরের তলদেশ স্থাপনা করা নর্ড স্ট্রিম পাইপ লাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস যায়। সেখান থেকে পুরো ইউরোপে সরবরাহ করা হয়।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/২০ আগস্ট ২০২২

Back to top button