কাবুলে নারীদের বিক্ষোভে তালেবানের ফাঁকা গুলি-মারধর
কাবুল, ১৩ আগস্ট – কট্টর ইসলামপন্থী তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার প্রথম বার্ষিকীর কয়েকদিন আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শনিবার অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামেন নারীরা। এসময় সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ করার সময় তালেবান যোদ্ধারা নারী বিক্ষোভকারীদের মারধর করে এবং বাতাসে ফাকা গুলি চালায় বলে জানা গেছে।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ জন নারী ‘রুটি, কাজ এবং স্বাধীনতা’ স্লোগান দিয়ে কাবুলের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভবনের সামনে মিছিল করেন। তালেবান যোদ্ধারা তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি ছুড়ে এবং আশেপাশের দোকানে আশ্রয় নেওয়া কিছু নারী বিক্ষোভকারীকে ধাওয়া করে তালেবান যোদ্ধারা এবংতাদের রাইফেলের বাট দিয়ে আঘাত করে।
বিক্ষোভকারীরা একটি ব্যানার বহন করেছিল যাতে লেখা ছিল ‘১৫ আগস্ট একটি কালো দিন’। এছাড়াও ‘ন্যায়বিচার, ন্যায়বিচার। আমরা অজ্ঞতায় বিরক্ত হয়ে গেছি,’ বলে বিক্ষোভকারীরা শ্লোগান দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের মধ্যে অনেকের মুখে ওড়না ছিল না।
কয়েক মাসের মধ্যে প্রথম নারী সমাবেশের কভার করা কিছু সাংবাদিককেও মারধর করে তালেবান যোদ্ধারা ।
প্রসঙ্গত ক্ষমতা দখলের পর, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় তাদের প্রথম কার্যকালের কঠোর ইসলামি শাসনের পরিবর্তে নমনীয় থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান। তবে এরই মধ্যে অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। হাজার হাজার মেয়েকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতেও নারীদের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
এছাড়াও এই বছরের মে মাসের শুরুতে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা এবং তালেবানের প্রধান, হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা, নারীদের সর্বজনীন বোরকা সহ জনসম্মুখে তাদের মুখ সহ সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তালেবানের এমন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কিছু আফগান নারী প্রাথমিকভাবে আন্দোলন শুরু করলেও তালেবানরা কিছু নারীকে আটক করলে সেই আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে ছোট ছোট বিক্ষোভের আয়োজন করেন নারীরা।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১৩ আগস্ট ২০২২
