এশিয়া

ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতির শপথ নিলেন জগদীপ ধনকড়

নয়াদিল্লী, ১১ আগস্ট – ভারতের ১৪তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান সদ্য-নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এপিবি’র প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া যায়।

রাজধানী নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় দেশটির নতুন উপরাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাসহ দেশটির অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।

শপথ গ্রহণের আগে দিল্লির রাজ ঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। নিজের টুইটারে সেই ছবি দিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত ৬ আগস্ট নির্বাচনে বিরোধী জোটের প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। ৭১০টি ভোটের মধ্যে তিনি পেয়েছিলেন ৫৩৮ ভোট। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মার্গারেট আলভা পেয়েছিলেন মাত্র ১৮২টি ভোট।

৭১ বছরের ধনকড়কে নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। আইনজীবী হিসাবে পেশাদার জীবন শুরু করলেও এক সময় তা ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছিলেন ধনকড়। এরপর একে একে বিধায়ক থেকে সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যপালও হয়েছেন। বিধায়ক হওয়ার আগেই সাংসদ হয়েছিলেন ধনকড়। তবে তার প্রথম রাজনৈতিক দল ছিলো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জনতা দল।

১৪তম উপরাষ্ট্রপতি ১৯৫১ সালের ১৮ মে রাজস্থানের এক জাঠ কৃষকের পরিবারে জন্ম নেন। চিত্তৌরগড়ের সৈনিক স্কুলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাও করেছেন নিজের রাজ্যে। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করেন ধনকড়। এক কালে রাজস্থান হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

পশ্চিবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বভার নেয়ার পর নানা বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। সেই দায়িত্ব সামলানোর আগে একাধিক পদে ছিলেন ধনকড়। জনতা দল থেকে বিজেপিতে যোগদানের আগেই অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দেখা গিয়েছে তাকে। এবার নিলেন আরও বড় দায়িত্বে।

রাজস্থানের অখ্যাত গ্রাম থেকে দেশীয় রাজনীতির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারীর আসনে আরোহণ করলেন, যা জগদীপ ধনকড়ের রাজনৈতিক জীবনে নিঃসন্দেহে বড় সাফল্য।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১১ আগস্ট ২০২২

Back to top button