জাতীয়

১০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ওবায়দুল কাদেরকে জানালেন জাফরউল্লাহ

ঢাকা, ১০ আগস্ট – অতিরিক্ত ভাড়ার খড়্গ এবার পড়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর ঘাড়ে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন তিনি, জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে।

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে বাসে উঠে বনানীর কাকলী মোড় পর্যন্ত গিয়ে ৫০ শতাংশ বেশি ভাড়া দেন কাজী জাফরউল্লাহ। পূরবী থেকে কাকলী পর্যন্ত দূরত্ব ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার। নির্ধারিত ভাড়া ১৭ টাকা। যদিও আগে থেকেই ২০ টাকা রাখা হতো, সে হিসেবে অতিরিক্ত তিন টাকা করে দিতেন যাত্রীরা। ভাড়া বাড়ার পর জাফরউল্লাহকে দিতে হয়েছে ৩০ টাকা!

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এ রুটের সর্বোচ্চ ভাড়া ঠিক করেছে কিলোমিটার প্রতি আড়াই টাকা। সে হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এ নেতা ভাড়া দিয়েছেন ৪ টাকা ১১ পয়সা হারে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়া বিষয়টি নিয়ে কাজী জাফরউল্লাহ কথা বলেন দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে। পরে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেও তিনি বিষয়টি জানান।

জাফরউল্লাহ-ওবায়দুলে কাদেরের মধ্যে কী কথা হয়েছে জানা যায়নি। বিষয়টি জানতে ফোন করে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক হেমায়েত উদ্দিনকে। তিনিও কিছু জানাতে পারেননি।

এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বলছেন। বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি বাস্তবায়নের নির্দেশনাও দেন তিনি।

মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সমন্বয়কৃত ভাড়ার বেশি আদায়ের চেষ্টা করছেন- আমাদের মনিটরিংয়ের আওতায় তারা রয়েছেন। তাই আবারও তাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

এদিকে, ভাড়া বাড়ানোর পর তৃতীয় দিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিআরটিএ’র উপপরিচালক হেমায়েত উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদক। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাজধানীতে পরিচালিত ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মোট ২৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় জরিমানা আদায় হয়েছে ৭০ হাজার টাকা।

তারপরও খুশি নন যাত্রীরা। তাদের ভাষ্য, নৈরাজ্য এমন পরিস্থিতিতে গেছে, এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা মুশকিল। জ্বালানি তেলের মূল্য এত বেশি বাড়ানো হঠকারী সিদ্ধান্ত। এর জের সাধারণ মানুষকে টানতে হবে। ৮৯ টাকা অকটেন দাম বাড়িয়ে ৯৫ টাকা করলেও হয়ত কিছুটা সাশ্রয় হতো, একইভাবে অন্যান্য জ্বালানির দামও যদি সহনীয় মাত্রায় রাখা হতো নাগরিকটা কিছুটা উপকৃত হতো।

তারা বলছেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দেশে পেট্রোল-অকটেন কিনতে হয় না। যদি তা-ই হয়, তাহলে এ জ্বালানির মূল্য এত বাড়ল কেন? দুদিন আগে তিনি বললেন জ্বালানি কিনে আনতে হচ্ছে। আমরা কোন কথাটি ধরে সামনে এগিয়ে যাবো, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেছি।

সূত্র : বাংলা নিউজ
এন এ/ ১০ আগস্ট

Back to top button