জাতীয়

ভোলার ঘটনায় আশঙ্কাজনক আরও ১৯ নেতাকর্মী

ভোলা, ৫ আগস্ট – ভোলায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলি ও হামলায় আহত আরও ১৯ জন নেতাকর্মী ঢাকা এবং বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এসব নেতাকর্মী জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অঘোষিত দেউলিয়াত্বের মুখে পড়ে জনরোষ থেকে বাঁচতে বর্তমান সরকার হিংস্র হয়ে উঠেছে। এজন্যে জ্বালানি সংকট, সীমাহীন লুটপাট ও অর্থপাচারের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করছে এমন অভিযোগও তোলেন এই বিএনপি নেতা।

রিজভী বলেন, ভোলা জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আওয়ামী পুলিশ বেপরোয়াভাবে খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমকে। হত্যা করেছে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে। আরও ১৯ জন ঢাকায় ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

ভোলার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে বিরোধী মত দমনে ছাত্রলীগকে পুলিশের পোশাক পরিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলির নির্দেশদাতা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা। প্রমোশন ও পুরস্কারের লিপ্সায় এসপি সাইফুল বিএনপির মিছিলে নারকীয় তাণ্ডবের নির্দেশ দেন বলে জানতে পেরেছি। মাঠে নির্দেশ কার্যকর করেছেন পুলিশের ভোলা সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেন এবং ওসি এনায়েত হোসেন। ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেনকে সরাসরি গুলি করতে দেখা গেছে। তার বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরের কালঘড়ায়। তার মৃত পিতা আব্দুল মতিন কিসলু ছিলেন আওয়ামী লীগার।

ভোলার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা নিহতের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও এর অঙ্গ, সহযোগী-সংগঠনগুলো। এসব কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সরকারদলীয় অঙ্গ সংগঠনের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর এবং পটুয়াখালীতে যুবদলর কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।

পুলিশ হামলার শিকার নেতাকর্মীদের নামেই মিথ্যা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়ি জেলাধীন মানিকছড়ি উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি আমির খান ও যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিমকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করে। তারা দু’জনই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানান বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ৫ আগস্ট ২০২২

Back to top button