জাতীয়

রব-মান্না-সাকি-নুরের নতুন জোট, আগামী সপ্তাহে আত্মপ্রকাশ

ঢাকা, ২ আগস্ট -আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সাতটি দলের নেতারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। এ নিয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে গতকাল রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় এক বৈঠকে মিলিত হন সাত দলের শীর্ষ নেতারা। এদিন দুপুর ১টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা পর্যন্ত চলে এ বৈঠক।

জোটের নেতারা জানান, জোটের খসড়া রূপরেখা চূড়ান্ত করতে চলতি মাসে জোটের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরইমধ্যে জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ চলে যাওয়ায় বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। যার ফলে, গত ২৮শে জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে জোটের চূড়ান্ত রূপরেখা গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরার কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়নি। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে জোটের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের অধীনে যেসব দলগুলো নির্বাচনে আগ্রহী নয় তাদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও যুগপৎ অথবা বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য অন্যান্য যে বড় দলগুলো আছে তাদের সঙ্গে কীভাবে বসা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ করবে এ জোট। এর সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে আগামী ৮ই আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে জোটের নেতারা আরেকবার বৈঠকে বসবেন।

এ ছাড়া এ জোটের সমন্বয়ক কে হবেন এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এটা নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগের বৈঠকেই জোটের সমন্বয়ক চূড়ান্ত করা হবে। জানা গেছে, শুরুতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম রবকে সমন্বয়ক করেই নতুন এই মঞ্চের ঘোষণা করা হতে পারে। পরে প্রতি দুই মাস পর পর জোটের সমন্বয়ক পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে।

জোটের রূপরেখার মধ্যে রয়েছে- বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেয়া, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন একটা সরকার আসবে শুধু তাই নয়, নির্বাচনের আগে সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্য করা, যাতে করে পরবর্তীতে যে কেউই ক্ষমতায় আসুক না কেন বাংলাদেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, সংবিধানের যেসব ধারাগুলো মানুষের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এগুলো সংস্কার করা, যাতে করে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হয় সেজন্য একটা পরিবেশ তৈরি করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সভায় এক যৌথ প্রস্তাবে নেতৃবৃন্দ ভোলায় বিএনপি’র মিছিলে পুলিশের গুলি এবং তাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত ও বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য বহ্নি শিখা জামালী, আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া, সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতার হোসেন এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু প্রমুখ।

সূত্র:নতুন সময়
আইএ/ ২ আগস্ট ২০২২

Back to top button