অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বঙ্গবন্ধু টানেল
চট্টগ্রাম, ২৯ জুলাই – চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর দুটি টিউবই চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা আশাকরি অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটা খুলে দিব ইনশাল্লাহ। আর ডিসেম্বরে মধ্যে সেকেন্ডটাও আমরা খুলে দিব। টানেল ওপেন হয়ে যাবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ ‘মেগা প্রজেক্টের’ বাস্তবায়নকে বাংলাদেশের জন্য বড় সাফল্য মনে করছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, টানেল প্রজেক্টে স্থানীয়রা অনেক সহযোগিতা করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। এটা খুব স্মুদলি ইমপ্লিমেন্টেড হয়েছে। এতবড় একটা প্রজেক্ট একেবারে রাইট অন টাইমে যে বাস্তবায়িত হচ্ছে, এটা একেবারে গ্রেট একটা সাকসেস আমাদের দেশের জন্য।
টানেলের এই কাজকে আগামীতে মডেল হিসেবে ধরা হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুই পারের যারা পলিটিক্যাল নেতৃবৃন্দ, উনারও খুব সহায়তা করেছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য একটা মডেল হিসেবে ট্রিটেড হবে যে, এত বড় প্রজেক্ট স্মুদলি এবং টাইমলি উইদাউট অ্যানি কস্ট ভ্যারিয়েশন কীভাবে এটা ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশের এই সুড়ঙ্গ পথের নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা, যা হবে বাংলাদেশের প্রথম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম রোড টানেল।
চট্টগ্রামে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সূত্র: বাংলােদেশ জার্নাল
এম ইউ/২৯ জুলাই ২০২২