সিপিবি নির্বাচনকালীন সরকার চায়
ঢাকা, ২৮ জুলাই- সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রার্থীর প্রচারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নেওয়া, ‘না’ ভোট, জনপ্রতিনিধি প্রত্যাহারের বিধান, নির্বাচনকে টাকা-পেশি শক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি, সাম্প্রদায়িক প্রচার প্রচারণা মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মৈত্রী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছাড়া এখনকার বাস্তবতায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনও সম্ভাবনা নেই। এজন্য নির্বাচনকালীন সরকার যেন কোনও প্রকারে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকাও অপরিহার্য।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে একটি স্বাধীন, দক্ষ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকার , নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নির্বাচন-ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো জরুরি কর্তব্য।
সংবাদ সম্মেলনে ওই চারটি বিষয়ে কতক সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট বিধিবিধান যুক্ত করা, নির্বাচনী বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়াসহ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচন বাতিলসহ আইন লঙ্ঘনকারীদের আটক ও কারাদণ্ড প্রদানের ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়।নির্বাচনকালীন তদারকি সরকারের ও ওই সরকারের কাজের বিষয় সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করার দাবি জানানো হয়। নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।
তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
মুন/২৮ জুলাই