জাতীয়

রিজার্ভ কমলেও ঝুঁকি নেই

ঢাকা, ২৭ জুলাই – দেশের রিজার্ভ কিছুটা কমলেও তাতে ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। আজ বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ চাওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, ‘আমাদের এখানে সম্প্রতি আইএমএফ একটি মিশনে এসেছে, আমাদের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে। এটা কিন্তু রুটিন, প্রতি বছরই হয়। জাইকা, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়। আইএমএফের সঙ্গেও কথা হয়। আমরা কী কী ফ্যাসিলিটি নিতে পারি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’

রিজার্ভ কমে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংকট যেটা সবাই বলছে, রিজার্ভ নিয়ে সবারই এক ধরনের মাথা ব্যথা হয়ে গেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যখন ২১ থেকে ২০ বিলিয়ন হয়েছিল তখন মানুষের ধারণা ছিল এত টাকা দিয়ে কী হবে? এমনকি ২০১৯ সালেও আমাদের ৩০ বা ৩১ বিলিয়ন ছিল, কারও কোনো চিন্তা ছিল না। ৪০ বিলিয়ন পার হওয়ার পরে মনে হচ্ছে যেন, একটু এদিক-ওদিক হলেই দেশের ভিত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’

আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘সারা বিশ্বে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তাতে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। অতএব আমাদের এখানে দেখা যাচ্ছে, একটা পার্থক্য তৈরি হয়েছে। আমাদের ৪২ বিলিয়ন ডলার ছিল সেটা একটু কম হয়েছে। সাধারণত বলা হয় ৩ মাসের আমদানি ব্যয় যদি থাকে তাহলে ওই অর্থনীতিটা মজবুত। আমাদের ৫ মাসের অধিক আমদানি ব্যয় আছে।’

তিনি এর আগে বলা হতো, ‘৩ মাসের খাদ্য আমদানির ক্যাপাসিটি আছে কি না। এখন আমরা শুধু খাদ্য আমদানি হিসাব করি না, আমাদের মোট যে আমদানি হয় সেটা হিসাব করছি। তাতে দেখা যাচ্ছে, আমাদের ৫ মাসের বেশি আছে। অতএব আমাদের ঝুঁকি নেই। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ বলছে, বৈশ্বিক মন্দা হতে পারে। বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে, তাদের অর্থনীতি হোঁচট খাচ্ছে তাহলে আমরা কি কোনো প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব না?’

সূত্র: আমাদের সময়
এম ইউ/২৭ জুলাই ২০২২

Back to top button