জাতীয়

সংকটের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে: দুদু

ঢাকা, ২৩ জুলাই- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে রিজার্ভ শূন্য, তেল কেনা যাচ্ছে না, বিদেশ থেকে কোন কিছু আমদানি করা যাচ্ছে না। এই সংকটের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে, হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যেতে পারে, নিদারুণ এক সংকটের দিকে যাচ্ছে দেশ।শনিবার (২৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের দাবি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে দুদু বলেন, সরকার এখনো বলছে এটা সাময়িক কিন্তু এ দেশের সব অর্থনীতিবিদ বলছে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে দেশ। আমরা শুধু ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না, দলগতভাবে মনে করি না, বিশ্বের কাছ থেকে ও এদেশের জনগণের কাছ থেকে যে খবর পাচ্ছি এতে বোঝা যায় এই সরকার আর বেশি দিন থাকতে পারবে না।

‘গণতন্ত্রের জন্য এদেশের মানুষ এক সাগর রক্ত দিয়েছে। সেই গণতন্ত্র এখন আর নাই। ভোটার অধিকার নাই। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে অন্যতম স্বীকৃতি পেয়েছে। এই সরকারের আমলে এত দুর্নীতি হয়েছে গত ৫০ বছরে এরকম দুর্নীতি অন্য কোন সরকারের আমলে এদেশের জনগণ দেখে নাই।’

সরকারের উদ্দেশ্য বিএনপির এই নেতা বলেন, এদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে এত ভালবাসে যে এই গণতন্ত্রের জন্য তারা রক্ত দিয়েছে। পৃথিবীতে অন্য কোন দেশ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য এক সাগর রক্ত দিয়েছে এরকম দৃষ্টান্ত নেই। গণতন্ত্রের প্রশ্নে এ দেশবাসী কখনো আপোষ করে না। সরকার যদি সতর্ক না হয় তাহলে তাদের খেসারত দিতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস করা পরিণাম বড় নির্মম হবে।

‘তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। এই সরকারকে বলবো পদত্যাগ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক তারেক রহমান ও আমাদের দল যত ভোট পাবে ৭০ নির্বাচনকেও অতিক্রম করবে। একটা ভালো নির্বাচন দেন তাহলে বুঝতে পারবেন তারেক রহমান কোন জায়গায় আছেন। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও ধানের শীষ কতটা জনপ্রিয় বুঝতে পারবেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন আরও কত কিছু নির্মাণ করেছেন আবার দেশের কঠিন সময়ে নৃত্য করেন। শুধু গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন দেন দেখবেন বিএনপির বক্তব্য সত্য নাকি আপনাদের বক্তব্য সত্য।’

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদেরকে উঠে দাঁড়াতে হবে। দেশের গণতন্ত্র জনগণের ভোটার অধিকারের জন্য। খালেদা জিয়া তিন বছর যাবত বন্দি, তারেক রহমান প্রবাস জীবন যাপন করছে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য, দেশে গণতন্ত্র স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোন পথ আছে বলে আমি মনে করি না।

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয় দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ
মুন/২৩ জুলাই

Back to top button