জাতীয়

ইসির সংলাপে ট্রেন-বিমানের টিকিটে অগ্রাধিকার চাইলো গণফ্রন্ট

ঢাকা, ২১ জুলাই – আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সংলাপে অংশ নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য বাংলাদেশ বিমান, ট্রেনের টিকিট, হাসপাতালের কেবিন ও কারাগারের ডিভিশনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণফ্রন্ট।

এছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু একটি জাতীয় নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) নিবন্ধিত এ দলটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে গিয়ে এ প্রস্তবনা দেন। দলের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নেতৃত্বে গণফ্রন্টের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। সংলাপে চারজন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপে গণফ্রন্টের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-

>> সংসদের আসন বাড়িয়ে ৩৫০-৪৫০ করা।

>> প্রতি জেলা ও মহানগরী হতে একজন করে মহিলা সাংসদ সংরক্ষিত মহিলা আসন নিশ্চিত ও রাজনৈতিক দলগুলোর সব স্তরে এক-তৃতীয়াংশ মহিলা সদস্য রাখার বিধান চালু রাখা।

>> সব নিবন্ধিত দলকে হালনাগাদ একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা সরবরাহ।

>> একই পোস্টারে সব প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং একই মঞ্চে সকল প্রার্থীর নির্বাচনী জনসভার ব্যবস্থা।

>> নির্বাচনী ব্যয়ের সীমারেখা সঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে কি না, তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ।

>> নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা।

>> স্বাধীনতাবিরোধী, বিদেশি নাগরিক, এনজিওর প্রধান ও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি দলের নেতৃত্বে না থাকার বিধান।

>> আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনবোধে সেনাসদস্য মোতায়েন।

>> ঋণ, কর ও বিল খেলাপিকে নির্বাচন করার সুযোগ না দেওয়া।

>> নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদেরকে রির্টানিং অফিসার করা।

>> নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক সরকার গঠন।

>> অনিবন্ধিত দল নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করতে না পারার বিধান।

>> নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রধানের নিরাপত্তা ও দলীয় অফিসের নিরাপত্তার প্রদান।

>> অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকলে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা

>> নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যাস্ত করা।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/২১ জুলাই ২০২২

Back to top button