আফ্রিকা

নতুন প্রাণঘাতী ভাইরাস মারবার্গ আতঙ্ক, ঘানায় দুজনের মৃত্যু

আক্রা, ১৯ জুলাই – পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানায় প্রাণঘাতী মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই দুজন দক্ষিণাঞ্চলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

চলতি মাসের শুরুতে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরপরেই তাদের মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সেনেগালের একটি ল্যাবরেটরিতেও নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সেখান থেকেও এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ওই দুজনের সংস্পর্শে আসায় ৯৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এক বছরের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো পশ্চিম আফ্রিকায় মারবার্গের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে।

এর আগে গত বছর গিনিতে প্রথম মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু প্রথম কেস শনাক্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ পর গত সেপ্টেম্বরেই এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়।

এদিকে মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় ঘানার প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, এ বিষয়ে ঘানার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা বিষয়ক পরিচালক ডা. মাতশিদিসো মোয়েতি বলেন, এটা খুব ভালো যে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে মারবার্গ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত।

এই ভাইরাসে নতুন মৃত্যু ঠেকাতে কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক টিমগুলো দেশের নানা প্রান্তের কমিউনিটির কাছে গিয়ে এ বিষয়ে তাদের সচেতন করছে।

এখনও পর্যন্ত মারবার্গের কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি জানা যায়নি। তবে এ রোগে আক্রান্তদের প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

এর আগে ২০০৫ সালে অ্যাঙ্গোলায় এই ভাইরাসে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। সে সময় দেশটিতে এই ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৭ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয় জার্মানিতে। দেশটিতে সে সময় সাতজন প্রাণ হারায়।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/১৯ জুলাই ২০২২

Back to top button